সিরাজগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে। এরইমধ্যে মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পড়ন্ত বিকালে সবুজের দৃশ্য দেখে মন জুড়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষকেরা এ চাষাবাদ বেশি করেছে। এ জেলার শস্যভাণ্ডার খ্যাত তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি জমিতে রোপণ করে কৃষকেরা। এ সব ধনের মধ্যে রয়েছে, ব্রি ধান ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ এবং দেশীয় জাতের ধানের চারাও রোপণ করা হয়েছে। এ চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় এ চাষাবাদ বেশি করেছে কৃষকেরা। এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ পোকামাকড় দমনসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়েছেন। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এবার জমিতে ধানের চারা রোপণের আগে এবং পরে দফায় দফায় বর্ষণে কৃষকের কম খরচ হয়েছে এ চাষাবাদে। খাল বিল অঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এ চাষাবাদে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কিছুটা খরচ বেশি হয়েছে এবং ধানখেত পরিচর্যা ক্ষেত্রে কামলা সংকট ও মজুরি বৃদ্ধি ঘটেছে। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের এ চাষাবাদে হিমশিম খেতে হয়েছে এবং মাঠে মাঠে এ ধানের খেত পরিচর্যা কাজও শেষ হওয়ার পথে। গত বছরের চেয়ে এবার এ চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। পড়ন্ত বিকালে মাঠে মাঠে সবুজের এ দৃশ্যে কৃষকের মনও জুড়ে যায়। এমনকি এ দৃশ্য ঘিরে অনেকেই সেলফিও তুলছেন। আগামী মাসের মাঝামাঝি অনেক স্থানে এ ধান কাটা শুরু হবে এবং এবার ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষকেরা। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ জা মু আহসান শহিদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষাবাদ কিছুটা বেশি হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের নানারকম পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এ চাষাবাদের মাঠও পরিদর্শন করছেন। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলনেরও আশা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।