দিনাজপুর পৌরসভায় নাইস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি

নাইস প্রকল্প ২০২১ সাল থেকে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে পৌরসভাস্থ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয়, পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে আসছে। পৌরবাসীর খাদ্য সচেতনতা ও সরবরাহকে আরও শক্তিশালী করতে সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন (সাফ) বাংলাদেশ ও দিনাজপুর পৌরসভার মধ্যে একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার বিকালে দিনাজপুর পৌরসভার কনফারেন্স রুমে নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস (নাইস) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর করেন পৌরসভার প্রশাসক মো. রিয়াজ উদ্দিন ও সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন (সাফ) বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মো. ফরহাদ জামিল।

এই সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌরসভার প্রশাসক মো. রিয়াজ উদ্দিন বক্তব্যে বলেন, নিউট্রিশন ব্যবস্থা স্কুলের ছেলে-মেয়েদের পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করবে এবং মার্কেট চেইন উন্নতিকরণ হবে। এ বিষয়গুলো আগের ফেজে চুক্তিতে সম্পাদন হয়েছে এবং কাজগুলো শুরু হয়েছে। এটি এমন একটি পর্যায়ে এসেছে। এখন এই কাজগুলো চিরস্থায়ী ধরে রাখার জন্য আমাদের আরেকটি ফেজে চুক্তির দরকার হয়েছে। এই ফেজে নিরাপদ শাকসবজি ও পুষ্টির গুরুত্ব নাগরিকগণের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছানোর জন্য পৌরসভার তরফ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আমরা চাই পৌরসভার নাগরিকরা নিরাপদ শাকসবজি ও পুষ্টি তাদের হাতের কাছে চলে আসে। সুস্বাস্থ্য বিনির্মাণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নাইস প্রজেক্টের এই চুক্তি সম্পাদন।

নাইস প্রোজেক্টর দিনাজপুর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর প্রত্যয় চ্যাটাজ্জারী। সঞ্চলানয়ে বক্তব্য রাখেন- সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মো. ফরহাদ জামিল, দিনাজপুর পৌরসভার নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিনারুল ইসলাম খাঁন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মিজানুর রহমান সিদ্দিকী ফোকাল পার্সন-নাইসসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাফ বাংলাদেশ নাইস প্রোজেক্টের প্রকল্প ম্যানেজার মো. মোশফেকুল আলম তালুকদার, নাইস প্রোজেক্টের এমআরএম এন্ড কমিউনিকেশনস স্পেশালিস্ট আবিদ আহমেদ, ইএসডিও ফোকাল পার্সন শাহ মো. আমিনুল হক, সিভিল সার্জন অফিস এসআইএমও, ডব্লিউএইচও এর প্রতিনিধি ডা. আল আমিন, দিনাজপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) মীর তোফাজ্জল হোসেন, পৌরসভার প্রধান সহকারী মো. মজিবর রহমানসহ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।