একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে একই সঙ্গে বাংলাদেশি মাদ্রাসা থেকে কুরআনের হাফেজ হয়েছেন ইতালি প্রবাসীর দুই ছেলে। মাদ্রাসা থেকে পেয়েছেন হাফেজ মর্যাদার পাগড়ি টুপি।
স্বপ্ন পূরণে আরব দেশ মিশরে পড়িয়ে মাওলানা বানাতে চান ইতালি প্রবাসী বাবা। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা এলাকার জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম রাজৈর মাদ্রাসা থেকে একই সঙ্গে ৩০ পাড়া কোরআনের হাফেজ হয়েছেন আব্দুর রহমান হাওলাদার (১৫) ও আব্দুর রহিম হাওলাদার (১৩)। গত বুধবার জোহরের নামাজের পর জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম রাজৈর মাদ্রাসা মসজিদের ভিতরে তাদের হাফেজ মর্যাদার পাগড়ি পড়িয়ে দেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুফতী রেজাউল ইসলাম। এ সময় তাদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানানো।
হাফেজদের বাবা ইতালি প্রবাসী মামুন হাওলাদারসহ স্থানীয় আলেমরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। হাফেজ আব্দুর রহমান ও হাফেজ আব্দুর রহিম মাদারীপুর সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ইতালি প্রবাসী মামুন হাওলাদারের ছেলে এবং দুজনেই ইতালির নাগরিক।
মাদ্রাসা ও পরিবারের সদস্যরা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত ইউরোপের দেশ ইতালিতে থেকে কাজ করেন মামুন হাওলাদার। পরে স্ত্রীকেও নিয়ে যান ইতালিতে। সেখানেই মামুন ও তানিয়া দম্পতির সংসার আলোকিত করে জন্ম নেয় আব্দুর রহমান হাওলাদার ও আব্দুর রহিম হাওলাদার। তারা জন্মসূত্রে ইতালির নাগরিক হলেও দুই ছেলেকে মাওলানা বানানোর স্বপ্ন দেখেন মামুন। কিন্তু ইতালিতে কোন মাদ্রাসা না থাকায় ইচ্ছা পূরণ করতে দুই ছেলেকে নিয়ে আসেন নিজ জেলা মাদারীপুরে। ভর্তি করে দেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা এলাকার ঐতিহ্যবাহী বড় মাদরাসা খ্যাত ‘জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম রাজৈর মাদ্রাসায়’। এই মাদ্রাসা থেকে একই সঙ্গে কোরআনের ৩০ পাড়া মুখস্থ করে কুরআনের হাফেজ হয়েছেন আব্দুর রহমান ও আব্দুর রহিম। ইতালি প্রবাসী মামুন হাওলাদার জানান, আমার দুই ছেলে আব্দুর রহমান হাওলাদার ও আব্দুর রহিম হাওলাদার ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছে। সেই সুবাদে জন্মসূত্রে তারা ইতালির নাগরিক। আমরা পুরো পরিবার ইতালিতে বসবাস করি। কিন্তু আমার স্বপ্ন দুই ছেলেকে মাওলানা বানাবো। তাই দেশে এনে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলাম। আজ আমার দুই ছেলে হাফেজ হয়েছে। এতে আমি খুব খুশি। ওদের শিগগিরই আবার ইতালি নিয়ে জাবো এবং মিশরে মাওলানা পড়তে পাঠাবো যাতে আমার স্বপ্ন ও ইচ্ছা ওরা দুই ভাই বড় মাওলানা হয়।
