যমুনার ভাঙনে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের এ ভাঙনে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ জায়গা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় এ ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢলে ও প্রবল বর্ষণে প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছিল। এতে নিম্নাঞ্চলের পাটসহ বিভিন্ন ফসলও বিনষ্ট হয়েছে।
গত সোমবার মধ্যরাত থেকে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে এবং গত রোববার বিকাল থেকে ওই উপজেলার চাঁদপুরসহ কয়েকটি স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়।
এছাড়া গবাদি পশু, ঘরবাড়ির টিনের চাল নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় এলাকা জুড়ে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে চাঁদপুরে এ ভাঙনে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অনত্রও আশ্রয় নিচ্ছেন। এ ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরও বাড়িঘরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে যমুনা নদীতে এ তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ’ হয়েছে চাঁদপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। দ্রুত স্থায়ী তীর সংরক্ষণে জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর বলেন, এমন তীব্র ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, যমুনার পানি এরইমধ্যে কমতে শুরু করেছে। এতে যমুনায় স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বগুড়া) আরিফুল ইসলাম চৌহালী চাঁদপুরের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন। ২-১ দিনের মধ্যেই ওই ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
