হোসেনপুরে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, কমেছে চাল-সবজির

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জে) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। তবে বেশ কয়েকমাস বাদে বাজারে চালের দাম সামান্য নিম্নমুখী। অন্যদিকে, চড়া সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। গতকাল শুক্রবার হোসেনপুর উপজেলা বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

পাইকারি খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি, তবে কমিশন কমিয়ে দিয়েছে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। এতে বাজারে বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও সুপার পাম অয়েলের দাম। গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে এই দুই ধরনের তেলের দাম বেড়েছে লিটারে পাঁচ টাকার মতো। খন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা। আর সুপার পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা ১৬০ টাকা দরে। চার দিন আগেও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৬৯ এবং পাম অয়েলের দাম ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

এদিকে, চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে এখন সরু নাজিরশাইল ও মোটা কয়েক পদের চাল আমদানি হচ্ছে। ওসব চালের দাম কমেছে। এখন বাজারে প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়। যা আগে ৮৬-৯০ টাকা ছিল। অন্যদিকে, মোটা পায়জাম ও স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, যা কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৬ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হোসেনপুর বাজারের ব্যবসায়ী ভূইয়া টেডার্স এর মালিক আল-আমিন ভূঁইয়া বলেন, বাহির থেকে প্রচুর চাল আসছে, তাই দাম কমছে। তবে দেশি যেগুলো মিনিকেট আছে, সেগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি আরও বাড়লে দাম আরও কমতে পারে। অন্যদিকে, জগদল, পুমদী, গোবিন্দপুর, সূরাটি, হাজিপুর, রামপুর, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনও স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। এখনও প্রায় প্রতিটি সবজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির দাম গত কয়েক সপ্তাহ ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

ওইসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন প্রতি কেজি পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙার কেজি ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙা কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে কম দামে পেঁপে ২০ টাকা এবং আলু ২০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। এদিকে, বাজারে এখন মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি ১৬৫ থেকে ১৭০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দামে।