কুমারখালীতে বিএনপি নেতাকে মারধর, কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক বিএনপি নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে ব্যাপক মারপিট করা এবং কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া বাজারে ঘটে এ হামলার ঘটনা। এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত বিএনপি নেতার ভাই দুলাল শেখ।

আহত ওই নেতার নাম রাশিদুল জাম্মান (৫৫)। তিনি কয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তার হাত, মুখ, পিঠ, পায়ের মাংসপেশিতে আঘাতের ক্ষত।

এ সময় আহত বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য রাশিদুল জাম্মান বলেন, কালোয়া বাজারে আমার একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। গত শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাজীর ভাই সোহেল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিন্টু খন্দকার, আওয়ামী লীগের সমর্থক মো. ইয়ারুলসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে এবং কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। মামলা করা হবে। তবে তিনি প্রতিপক্ষের কারও নাম বলেননি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার ফোনে বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলার খবর শুনেছি। এরসঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, আহত বিএনপির নেতার ভাই লিখিত অভিযোগ করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন।