কাউখালীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভেঙে গেছে সিন্ডিকেট
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
কাউখালী ঔষধ ব্যবসায়ী সংগঠন কিমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ২৩ সেপ্টেম্বর সমিতির একটি সভায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের এমআরপি মূল্যে ওষুধ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং কাউখালী ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ ফরিদ ও সহ-সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরিত একটি সিদ্ধান্তের চিঠি সব ঔষধ ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে দেয়।
সেই চিঠিতে ১ অক্টোবর থেকে ওষুধের গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে কম দামে কেউ ওষুধ বিক্রি করলে তাকে জরিমানার আওতায় আনার ঘোষণা দেন ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। এই সূত্র ধরে পহেলা অক্টোবর ভোক্তারা বিভিন্ন দোকানে ঔষধ ক্রয় করার জন্য গেলে ব্যবসায়ীরা পূর্বের মূল্যের চেয়ে বেশি চাওয়ায় ভোক্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভোক্তাদের দাবি কিছু কিছু ঔষধ ব্যবসায়ীরা ৪০-৫০ শতাংশ লাভে ক্রয় করতে পারে। যা সাধারণ গ্রাহকদের ৩০-৪০ পার্সেন্ট কম মূল্যে বিক্রি করলে ওষুধ ব্যবসায়ীদের লোকসান হয় না। অথচ নির্ধারিত মূল্যে ওষুধ কিনলে ভোক্তাদের বেশি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার সুযোগ পায়। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নানাভাবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রতিবাদ ব্যক্ত করে। কারণ তারা এরআগে ঔষধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রকারবেধে ১০ শতাংশ থেকে ২৫-৩০ পার্সেন্ট কমিশনে ওষুধ ক্রয় করতে পারতো। এছাড়াও নিম্নমানের যে সব ওষুধ কোম্পানি রয়েছে সেই সব ঔষধগুলো অধেক দামেও বিক্রি করলেও লাভ থাকে বলে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একাধিক ঔষধ ব্যবসায়ীরা জনানা। অথচ কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সব ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করে বিক্রি করতে চিঠি প্রদান করে। ওই চিঠিতে ওষুদের গায়ের মূল্যে নিচে কোনো ওষুধ বিক্রি করা যাবে না বলে উল্লেখ করেন সমিতির নেতারা।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা তার দপ্তরে, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মানসহ সব ঔষধ ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে এক জরুরি সভা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে যার মতো করে স্বাধীনভাবে ওষুধ বিক্রয় করবে এতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
সব সময় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সাধারণ অসহায় মানুষসহ সব শ্রেণির মানুষে যাতে সুলভ মূল্যে ক্রয় করতে পারে এ ব্যাপারে সবার সচেতন হইতে হবে। এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করা থেকে সব ওষুধ ব্যবসায়ীকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয় প্রশাসন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা জানান, ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করবে। কোনো পক্ষ যদি চাপ সৃষ্টি করে এমআরপির দরে বিক্রি করতে বাধ্য করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
