পাখির উপদ্রব ঠেকাতে ধানখেতে নেট ব্যবহার

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে এবার ব্রি-১০৩ আগাম জাতের রোপা আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা। এ আশা করছেন এখন বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। এরইমধ্যে এ ধান পাকতেও শুরু করেছে। তবে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে নেট দিয়ে এ ধানখেত ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে এ আগাম ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদ করেছে।

জমিতে চারা রোপণের প্রায় ৯০ দিনের মধ্যে এ ধানের উৎপাদন হয়ে থাকে। এ কারণে কৃষকেরা আগাম জাতের রোপা আমন চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এ ধান সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং যমুনা তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে এ ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় এ ধানের চাষাবাদও বাড়ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ ধান চাষাবাদ করছে কৃষকেরা।

তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ব্রি-১০৩ ধানের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। বীজতলা থেকে চারা উৎপাদনের পর জমিতে প্রর্দশন আকারে রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকেরাও লাভজনক এ ধানের চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে ব্রি-১০৩ আগাম জাতের ধান নামকরণ করা হয়েছে।

এ ধান প্রতি বিঘায় ২৪-২৫ মণ উৎপাদন হয় এবং স্বর্ণা ধানের চেয়ে এ ধান চিকন। এ ধান চাষাবাদে সার ও পানি সেচ কম লাগে এবং এ ধান উৎপদান বেশি ও অনেক আগেই ঘরে আসে। এরইমধ্যেই এ ধান বিভিন্ন স্থানে মাঠজুড়ে পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এ আধাপাকা ধান খেতে শুরু করেছে। এমনকি অনেক উড়াল পাখি ধানখেতে বাসাও বেঁধেছে। এসব পাখির উপদ্রব ঠেকাতে ধানখেতে নেট ব্যবহার করা হচ্ছে।

এছাড়া এ ধানখেতে ডালপালা ও মূর্তি বানিয়ে রাখা হয়েছে। অবশ্য আর ২-১ সপ্তাহ পরে এ ধান কাটবে কৃষকেরা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ জা মু আহসান শহীদ সরকার বলেন, ব্রি ১০৩ আগাম জাতের ধান চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে এ ধানে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ জাতের ধান উৎপাদনে প্লট প্রদর্শনও করা হয়েছে। এ ধান চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং আধাপাকা এ ধানখেতে বিভিন্ন প্রজাতের পাখির উপদ্রব ঠেকাতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।