মিষ্টি কুমড়ার ফলন ও দামে কৃষক খুশি

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভাষাদলগ্রামে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে লবণাক্ত জমিতে আব্দুল জলিল তালুকদার নামে একব্যক্তি হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া, শসা, চাল কুমার করলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ঘেরের বাঁধে মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ বেশি। ফলে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোরেলগঞ্জের মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করা হচ্ছে। তার দেখাদেখি আশপাশের ৩০ গ্রামের অনেক চাষি এগিয়ে এসেছেন। যত দূর চোখ যায় দিগন্ত জোড়া মাঠে সবুজ হলুদের খেলা। মিষ্টি কুমড়া ফুলের সমারোহ আর বড় জাতের মিষ্টি কুমড়ার ফলন মন কারে যে কোন দর্শনার্থীর। এক থেকে পঁচিশ কেজি ওজনের কয়েক হাজার টন মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে এই উপজেলায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই থেকে তিন কোটি টাকা। খেতেই কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিটি কুমড়া ওজন ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে পুরো গ্রামজুড়ে মিষ্টি কুমড়ার মাচা। সবুজ পাতায় ঘেরা এই মাচার নিচে ঝুলছে মিষ্টি কুমড়া।

কৃষকরা মাচা থেকে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই গ্রামের মিষ্টি কুমড়া পাইকারদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে সারা দেশে। গ্রামটির মিষ্টি কুমড়া সারাদেশে বেশ চাহিদা রয়েছে। মৌসুমে উপজেলায় প্রায় কোটি টাকার শীতকালীন আগাম সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। সবজি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সফলতা পেয়েছে বলে মনে করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফলে ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠেছে সবজির বাজার। সারা বছরই মোরেলগঞ্জে সবজির আবাদ হয়। ফড়িয়া ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসে দরদাম করে ট্রাকযোগে তা নিয়ে যাচ্ছে। মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানি পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সার ও বীজ দিয়ে গরীব কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে। জেলার প্রান্তিক কৃষকদের সহজ শর্তে কৃষি ঋণের পাশাপাশি আরও প্রশিক্ষণ ও উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে বাগেরহাটেরর ফসলি জমি ভরে উঠবে সবুজ মিষ্টি কুমরার সমারোহে এমনটাই দাবি এ অঞ্চলের কৃষকদের। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়া চাষে উপকরণ সহায়তা প্রদান শীর্ষক উপপ্রকল্পের আওতায় ২০০ জন চাষি ২০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করেছে। তাদের বীজ, রাসায়নিক সার প্রদানসহ পোকামাকড় দমনে নানা উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।