শুভ প্রবারণা উপলক্ষে হাটহাজারীতে কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা (পূর্ণিমা) তথা ফানুস উড়ানো উৎসব আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির/বিহারে দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিনমাসব্যাপী ভিক্ষু সংঘের বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান ও গৃহী সংঘের আমাবস্যা, অষ্টমী ও বিভিন্ন পূর্ণিমা তিথিতে উপসথ শীল গ্রহণ, বিদর্শন সাধনা অধিষ্ঠান শেষে এই প্রবারনা পূর্ণিমা তথা আশ্বিনী পূর্ণিমা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই পূর্ণিমাকে অনেকে ফানুস উড়ানো উৎসব ও বলে থাকে। এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু তথা ভিক্ষু সংঘের বর্ষাব্রত অধিষ্ঠানের সমাপনী দিন। পরদিন থেকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা মহাকারুনিক বুদ্ধ কর্তৃক বহুজনের হিত সুখের জন্য ভিক্ষু সংঘকে ধর্ম প্রচারের প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে, বিশেষ করে যেসব বিহারে ভিক্ষু সংঘ বর্ষাব্রত অধিস্ঠান করেছিল সেই সব বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান সভায় গিয়ে গিয়ে গৃহী সংঘকে ধর্ম উপদেশ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ধর্মীয় উৎসব মহাসমারোহে ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের জন্য হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন আটটি বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী অধ্যূষিত ১৩ টি বৌদ্ধ বিহার তথা মন্দিরে দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোরে পবিত্র ত্রিপিটকের মঙ্গলবানী পাঠ, সমবেত বুদ্ধ বন্দনা, জাতীয়, ধর্মীয় ও স্ব স্ব সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও উপসথ শীল গ্রহন, ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদান, অন্ন ও পুষ্প মেরু দাস, বৈজন্তিক ধ্বজ্বা উত্তোলন ও উৎসর্গ, উপসথ শীলধারীদের মধ্যহৃভোজ গ্রহণ, প্রবারনা পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান, আলোক সজ্জা, বুদ্ধ কীর্তন, সন্ধ্যা কালীন প্রদীপ পূজা, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং জীব জগতের মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও সর্বশেষে ফানুস উড়ানো মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘটবে।