দাগনভূঞায় আমন ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আবদুল্লাহ আল মামুন, দাগনভূঞা (ফেনী)

দাগনভূঞা উপজেলার কৃষকরা রোপা আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শ্রাবণের শেষের বৃষ্টির পানিতে, মনে স্বস্তি ফিরেছে রোপা আমন চাষিদের। মাঠজুড়ে আমনের জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষানিরা। সরেজমিন উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া ধর্মপুর এলাকায় এমনি চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন ফসলের মাঠে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে পানির জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। শ্রাবণের মধ্য থেকে আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলছিল। এতে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পেরেছে কৃষকরা।
মাঠ ঘুরে আরও দেখা যায়, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে, কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন কৃষক-কৃষানিরা। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
রোপা-আমন ধানের ভালো ফলন আশা করছেন কৃষকরা। ধর্মপুর এলাকার কৃষক মো. ইউছুফ, গিয়াস উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তিনজন পার্টনার প্রকল্পের অর্থায়নে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল রোপা আমনের আবাদ করেছি।
বর্তমানে ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে আমন ধানের ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা সহায়তা পেয়েছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, রোপা-আমন ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এজন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, রোগ বালাই দমনে প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করছে। আশা করছি কৃষকরা ভালো ফলন পাবে।
