‘সাংবাদিকরাই সমাজের নির্ভরযোগ্য তথ্য বাহক’

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকরাই সমাজের নির্ভরযোগ্য তথ্য বাহক। টিকা নিয়ে গুজব প্রতিরোধে ও সচেতনতা তৈরিতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজ প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সঙ্গে টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করুন। বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে এই টিকা কার্যক্রমের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদই গুজব প্রতিরোধে সহায়ক হবে।

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি প্রায় চার লাখ ৩৪ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন বিষয়ক দিনব্যাপী কনসালটেশন কর্মশালায়’ এই তথ্য জানানো হয়।

‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় কর্মশালার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা। ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত, এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর। ইপিআই কর্মসূচির আওতায় সরকার বিনামূল্যে এই টিকা প্রদান করবে।

তিনি জানান, জেলার ১ হাজার ৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। এজন্য ৭টি স্থায়ী ও ১ হাজার ৫৯৩টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কর্মশালায় টাইফয়েডের উপসর্গ, সংক্রমণ প্রক্রিয়া ও প্রতিরোধ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রমিতা সরকার। তিনি বলেন, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে এই টিকা অত্যন্ত কার্যকর এবং টিকা গ্রহণে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমীর হোসেন ও জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (কারিগরি ও প্রশিক্ষণ) কাজী শাম্মীনাজ আলম ও সহকারী তথ্য অফিসার আনিসুর হক আকন্দ। এছাড়া কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার আব্দুল মুন্নাফ খান, দৈনিক দিনকালের আমিনুল ইসলাম, দৈনিক যুগান্তরের মো. নুরুজ্জামান, দৈনিক সংগ্রামের শিকদার শামীম আল মামুন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের দেওয়ান আবুল বাশার, দৈনিক খবর পত্রের মো. তজুমুদ্দিন, ৭১ টিভির মনিরুল ইসলাম মিহির এবং সময় টিভির মোহাম্মদ ইউসুফসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।