ফরিদপুরে কৃষকদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত ফরিদ শেখকে (৩৭) উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফরিদ শেখ ফরিদপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বৈঠাখালী মহল্লার মো. মান্নান শেখের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য ও দলীয় আভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ দুদিন আগে ফিরোজ শেখকে জড়িয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। গত শনিবার ফরিদ শেখ তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে মহানগর কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান, ফিরোজ শেখের বাবা মাচ্চর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ফিরোজকে এলাকায় কিংবা ফরিদপুরে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। সে কীভাবে মহানগর কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক হন! এর দুদিনের মাথায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ফরিদ শেখের স্ত্রী জুঁই বেগম জানান, ফরিদ শেখ মোটরসাইকেল যোগে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফিরোজ শেখ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ফরিদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথায় ৬টি সেলাই লেগেছে। ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ বলেন, স্থানীয় বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তাছাড়া এ কমিটি হয়েছে দেড় বছর আগে। ফিরোজ শেখ ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক নয়, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক। দুইদিন আগের ফেসবুক পোস্ট আমি দেখেছি। ফিরোজের বাবা আওয়ামী লীগের নেতা কি না তা আমার জানা নেই, তবে বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হলে ছেলে বিএনপি, জামায়াত করতে পারবে না তা নয়। ফিরোজ আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের পাশে ছিলেন। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মহানগর কৃষকদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) গণেশ কুমার আগরওয়ালা জানান, আহত ফরিদ শেখকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
