মনপুরায় ১৫ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

ভোলার মনপুরায় মৎস্য বিভাগ ও যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৪৫টি সমুদ্রগামী ফিশিং বোটের মজুদকৃত বরফ জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। ইলিশের প্রজনন ও মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব ফিশিং বোট সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেনের নের্তৃত্বে নবনিযুক্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বনিকের তত্ত্বাবধানে নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের একটি চৌখস টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার জনতা বাজার, লতাখালি ও তালতলা মৎস্যঘাটে সকাল ১০টা থেকে রাত ০৭টা পর্যন্ত প্রায় ০৯ ঘণ্টা ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এছাড়াও রাত ০৮টায় উপজেলার কলাতলী চরের ঘোলের খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় ১৫ হাজার মিটার ইলিশ জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল উপজেলার হাজীর হাট লঞ্চঘাটে এনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

জানা যায়, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। অবরোধ কালিন সময়ে উপজেলার সমুদ্রগামী ফিশিং বোটের একটি বৃহৎ অংশ বরফ মজুদ করে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন মনপুরায় আসেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ টিম নিয়ে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। দিনব্যাপী এ অভিযানে তারা তল্লাশী চালিয়ে ৪৫ টি ফিশিংবোটে মজুতকৃত বরফ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এতে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজার মাছঘাটে ২৭টি, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের লতাখালি মাছঘাটে ৭টি ও তালতলা মাছঘাটে ১১টি ফিশিং বোটে বোঝাইকৃত বরফ জব্দ করা হয়।

এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মিদের উপস্থিতি জব্দ বরফ বিনষ্ট করা হয়।

অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মেনিরুল ইসলাম, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহকারী মো হেলাল উদ্দিন ও মো রাসেদ প্রমুখ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বনিক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয় এ অভিযান পরিচালন করেন।

৪৫টি ফিশিং বোটের মজুতকৃত বরফ আমরা বিনস্ট করেছি। এবং মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে আমাদের মৎস্য দপ্তরের টিম ও কোস্ট গার্ড নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখবে।