কালীগঞ্জে সিআইডির ছদ্মবেশে অপহরণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার দুই

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কর্মকর্তার ছদ্মবেশে মাইক্রোবাসে এক নারীকে অপহরণের ঘটনায় পুলিশ দুই অপহরণকারীকে আটক করেছে।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকাল ৭টায় উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের ছাদেক ভুইয়ার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪৫), তুরাগ থানার জামাল উদ্দিনের স্ত্রী হেলেনা আক্তার আইভি (৩৮) ও অজ্ঞাতনামা ৪ জন পুরুষ সিআইডির ছদ্মবেশে সিভিলে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে জামালপুর ইউনিয়নের চান্দেরবাগ গ্রামের শুক্কুর আলীর বাড়িতে আসে। বাড়ির মানুষ কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা শুক্কুর আলীর মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে (১৯) টেনে হিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি কালীগঞ্জ থানায় অবহিত করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিকালে দোলানবাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাবেয়া বেগমকে আটক ও ভিকটিম সুমাইয়াকে উদ্ধার করে। রাবেয়া বেগমের দেওয়া তথ্যমতে রাতে অভিযুক্ত হেলেনা আক্তার আইভির ভাড়াকৃত বাড়ির মালিক উত্তর খলাপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম বাদলকেও পুলিশ আটক করে।

এ বিষয়ে ভিকটিমের মা মাকসুদা আক্তার বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মাসুদ রানা শামীম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত রাবেয়ার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন করলে সে জানায় ঢাকার সিআইডি অফিসে ভিকটিমসহ অবস্থান করছে। পরে সিআইডি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এক নারী ফোনটি ধরিয়ে দেন। ওই নারী নিজস্ব মোবাইল নম্বর চাইলে দিচ্ছি বলে ফোন কলটি কেটে দেন। পরে বারবার কল করলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় আমাদের সন্দেহ বাড়ে এবং আমরা পুলিশি কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করতে থাকি। এতে ভিত হয়ে হেলেনা আক্তার আইভিসহ ওই অজ্ঞাত ৪ পুরুষ দোলান বাজার এলাকায় অভিযুক্ত রাবেয়া ও ভিকটিম সুমাইয়াকে রেখে মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, অপহরণের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ভিকটিমসহ অভিযুক্তদের গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।