সাঙ্গ হলো আখড়া বাড়ির সাধুসঙ্গ
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান (মৃত্যুবার্ষিকী) দিবসের ৩ দিনের অনুষ্ঠানমালা শেষ হয়েছে। তবে লালন মেলা চলবে আরও কয়েকদিন। সাধুদের ভাবের হাট ভেঙে গেছে গতকাল রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। সকালে আখড়া ঘুরে দেখা গেছে, দুর-দূরান্ত থেকে আসা বাউলরা নিজ নিজ আস্তানা ছেড়ে বিছানাপত্র গুছিয়ে রওনা দেয় অনেকেই। তবে যাওয়ার আগে একে অপরের সঙ্গে ভাব বিনিময়, ভক্তি-শ্রদ্ধা শেষে বেদনা-কষ্ট নিয়ে সকল বাউল ফকিররা আজ ফিরে যান যার যার গন্তব্যে।
রাত পোহালে পাখি বলে দেরে খাই দেরে খাই, দয়াল চাঁদ আসিয়া আমায় পার করে নেবে এমন সৌভাগ্য আমার কবে হবে, এমন গুরুবাদী, দেহতত্ত্ব গানের আসর লালন সাঁইজির আখড়াবাড়িতে থাকবে না, থাকবে না এই বাউল ফকিরদের ভিড়।
শরীর ভেঙ্গে প্রাণের সাঁইকে ভক্তি দিয়েছেন তিনদিন তিন রাত। জ্ঞান দিয়েছেন, পেয়েছেন। আসার বেলায় অনেক আনন্দ থাকলেও বিদায়ের বেলায় এটা যেন শান্তির কষ্ট। বিদায় বেলায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমন কথা জানালেন বাউল ভক্ত নারী-পুরুষরা। আঁখড়া বাড়ির পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। গুরুকে বারবার প্রণাম ও নানারকম ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায় নেন শিষ্যরা। গুরু ভক্তি আর সিদ্ধ মন নিয়ে বিদায় নেওয়ার সময় অনেক বাউল তাদের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আবার দেখা হবে সাঁইজির উদাসী ডাকের টানে। গুরু নহির শাহ জানান, সাঁইয়ের জীবদ্দশায় শুধুমাত্র তার ভক্ত আর শিষ্যদের নিয়ে মূলত আড়াই দিনের উৎসব করতেন। সে নিময় মেনেই বাউলরা ‘ভাটাই আসে উজানে’ ফিরে যায় যে যার আপন নিবাসে।
