কেশবপুরে চার বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজ নির্মাণ

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুর উপজেলার কুশুলদিয়া গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর ওপর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমার্ণ করা হচ্ছে একটি আরসিসি ব্রিজ। কিন্তু ৪ বছরেও ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। দীর্ঘদিন ওই ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘সাড়ে ৩ কোটির সেতুর নির্মাণ কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পুনরায় শুরু হয় ব্রিজের নির্মাণ কাজ। ব্রিজটির সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করে খোয়াসহ সেভ পিলার বসানো হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বর্ষায় সড়কের দুইপাশ ধসে পুকুরে বিলীন হওয়ায়সহ সেভ পিলার উপড়ে পড়েছে। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে সড়ক সংস্কার কাজ।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানায়, কেশবপুর-ভান্ডারখোলা সড়কের কুশুলদিয়া বাজার থেকে গোলাঘাটা বাজার পর্যন্ত একটি গ্রামীণ সড়ক রয়েছে।

সড়কের বুড়িভদ্রা নদীর ওপর ৪২ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যশোর অঞ্চল গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি নির্মাণে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি পান মেসার্স অর্পি-অর্নি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী। তিনি ২০২২ সালের ২ জুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সিডিউল অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কুশলদিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বুড়িভদ্রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজটি এলাকায় নেপালনাথের ব্রিজ নামে পরিচিত। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কুশুলদিয়া, মির্জাপুর, সরফাবাদ, বাজিতপুর, মঙ্গলকোটসহ ১০-১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। সেতুর পশ্চিমপাশে মজিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একটি ছোট বাজার রয়েছে এবং এর পূর্বপাশে গোলাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা থাকায় সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

৪ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছে না পথচারী, হাটুরেরা। এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা কেশবপুর বাজারে যাতায়াতসহ উৎপাদিত সবজি, কাঁচামাল বহনে সড়কটি ব্যবহার করেন। ওই স্থানে পুরাতন সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নজিবুল হক বলেন, সড়কের দুইপাশে বডার গার্ড বসানোর পরও বৃষ্টিতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সড়ক ধসে কি পরিমাণ ক্ষতি হয় সেটা দেখার জন্য ইচ্ছা করেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, সড়ক চলাচলের উপযোগী হয়েছে। কারও ক্ষতি হচ্ছে না। নদীর পানি কমে গেলে পুনরায় সড়কের কাজ শুরু করা হবে।