মডেল মসজিদের কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চিরিরবন্দও (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ বন্ধ রেখে পালিয়েছে ঠিকদার। স্থানীয়রা জানায়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবরে উপজেলার স্টেশন রোড চিরিরবন্দর মহিলা কলেজ গেট সংলগ্ন সড়কের পশ্চিম পাশে মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি উদ্বোধনে পর আর কোনো কাজ করেনি ঠিকাদার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে শুরু হয় মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ। এতে স্থানীয়দের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করে কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবার বন্ধ হয়ে গেছে নির্মাণকাজ আবার হাওয়া হয়ে যায় ঠিকাদার।

জানা যায়, সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর ধারবাহিকতায় গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুরের বাস্তবায়নে চিরিরবন্দর উপজেলা তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতির প্রথম ধাপে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। পরে দ্বিতীয় ধাপে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ধাপে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজ কাজ শুরুর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখে লাপাত্ত ঠিকাদার।

চিরিরবন্দর ইসলামি ফাউন্ডেশন ফিল্ড সুপার ভাইজার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দুই মাসে আগে এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। মডলে মসজিদের কাজ কি কারণে বন্ধ আছে তা ভালো বলতে পারবেন গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুর। কারণ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক যখন সম্পূর্ণ তৈরি হবে তখন আমাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে গণপূর্ত বিভাগ তার পরে তার দেখভালের দায়িত্ব আমাদের। চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতাহা তুজ জোহরা বলেন, আমি জেলারা মিটিং শুনেছি চিরিরবন্দর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ বন্ধ রেখে রাখছে ঠিকাতার তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদরে সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি দ্রুত রি-টেন্ডার দিয়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে মসজিদের বাকি অংশের কাজ শেষ করার জন্য।

গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি সবেমাত্র দিনাজপুরে যোগদান করেছি। যোগদানের পরে ঠিকাদারকে পাইনি। মনে হচ্ছে মা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার কাজটা ফেইল করতে পারে এজন্য আমরা মাস দুয়েকে মধ্য আমরা নুতন করে টেন্ডার দিয়ে যথা সময়ের মধ্যে কাজটার শেষ করতে পারব।