যশোর পৌরসভার কাছে ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২০ কোটি টাকা
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি
যশোর পৌরসভার কাছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে, যা পরিশোধের সক্ষমতা নেই প্রতিষ্ঠানটির। দেড় যুগ আগের বকেয়া আদায়ে ওজোপাডিকো থেকে প্রতি মাসে চিঠি দিলেও তা পরিশোধ করতে পারছে না পৌরসভা। কেন এত বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়লো তার কোনো সদুত্তর নেই কারও কাছে।
দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোর মধ্যে যশোর পৌরসভা একটি, যেটি ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। ১৪.৭২ বর্গকিলোমিটার (প্রস্তাবিত ২২.৩২০ বর্গকিলোমিটার) আয়তন বিশিষ্ট এ পৌরসভার নাগরিক সংখ্যা ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৩ জন। তবে হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী জনসংখ্যা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৪ জন। এ পৌরসভায় ২৯টি পানির পাম্প হাউজ, ৬টি পানির ওভার ট্যাংক, ১৫,১৮০ টি পানির লাইন সংযোগ, ৫০০টি তারা নলকূপ, রাস্তায় পানির কল রয়েছে ৫৫টি। পানির চাহিদা দৈনিক ২ কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার লিটার। চাহিদার বিপরীতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টায় ২১৩.৫ কিলোমিটার পানির পাইপ লাইনের মাধ্যমে দৈনিক এ পানি সরবরাহ করা হয়। সড়ক বাতি রয়েছে ৯ হাজার ৪৫৫টি। সুইপার কলোনি রয়েছে ৩টি। পানি সরবরাহ, সড়কবাতি ও সুইপার কলোনির জন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ১ ও ২ বিভাগ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেয় পৌরসভা। যশোর পৌরসভার কাছে ওজোপাডিকোর বকেয়া পড়েছে ২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ওজোপাডিকো-১ বিভাগের পাওনা ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ওজোপাডিকো-২ বিভাগের পাওনা ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৭ সালে সড়কবাতির ৩০টি মিটার ও পাম্পের ২৬টি মিটার ডিজিটাল করা হয়েছে। বর্তমানে এইসব প্রিপেইড মিটারের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার সুযোগ নেই। বকেয়া বিলের পুরোটাই ম্যানুয়াল মিটারের আমলের। প্রিপেইড মিটার চালু হওয়ার পর আর বিল বকেয়া হয়নি। আবার আগের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ হয়নি। বকেয়া আদায়ে ওজোপাডিকো বার বার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পৌরসভা কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।
যশোর পৌরসভার প্রশাসক (উপ-সচিব) রফিকুল হাসান বলেন, ‘বিদ্যুতের এ বকেয়া বিল অনেক আগের। সেই সময় কেন এত বিপুল অংকের টাকা বকেয়া পড়ে তা তার জানা নেই। এখন বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সক্ষমতা নেই পৌরসভার। তবে বকেয়া পরিশোধের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মাহমুদ প্রধান জানান, কাছে বকেয়া বিল ২০০৭ সালে পিডিবি থেকে পৃথক হয়ে কোম্পানি হওয়ার আগেকার। বকেয়া পরিশোধের জন্য ওজোপাডিকো থেকে প্রতি মাসে পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তখন কেন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকল তা তিনি বলতে পারেন না। তবে, অতি সম্প্রতি বকেয়া পরিশোধে পৌরসভা উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
