দশমিনায় সৌদির সাম্মাম চাষে বাজিমাত

* সাম্মাম ফলের উচ্চমূল্যে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে * পতিত জমিকে কাজে লাগাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগ * উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিয়েছে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনায় সর্বপ্রথম মালচিং পদ্ধতিতে পতিত জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে সাম্মাম চাষ করে বাজিমাত করেছেন এক কৃষক। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের কৃষক সরোয়ার হোসেন সৌদি আরবের সাম্মাম ফল চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছে। উপজেলায় এই ফল প্রথম সাম্মাম চাষ করেই সফলতায় নতুন স্বপ্ন বুনছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করবে বলে এই কৃষক আশা প্রকাশ করেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদুমপুর গ্রামের কৃষক সরোয়ার হোসেন সৌদি আরবের মালচিং পদ্ধতিতে সাম্মাম ফল চাষ করেছে। মালচিং পদ্ধতিতে এ উপজেলায় সর্ব প্রথম সাম্মাম ফল চাষাবাদ করেছেন সরোয়ার হোসেন।

২০ শতাংশ কৃষি জমিতে সাম্মাম চাষ করেছে। প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস আগে এ ফলের চারা রোপণ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার রোপণ করা সাম্মাম গাছে ফলের সারি দেখা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাকে সাম্মাম চাষ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তিনি গাছের চারা সংগ্রহ করে তার জমিতে রোপণ করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষনিক ভাবে কৃষক সরোয়ার হোসেনকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়। কৃষকরা আবাদি ও অনাবাদি এবং সড়কের পাশের জমিতেও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাম্মাম চাষ করতে পারবে।

এ বিষয়ে সাম্মাম চাষি মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, নিজের উদ্যেগে ও কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে উপজেলায় সর্ব প্রথম সৌদি আরবের সাম্মাম চাষ শুরু। ফল আশা পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে আশা করি। এতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর আহামদ জানান, সাম্মাম ফল চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না। উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা হিসেবে সাম্মাম ফল চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। সাম্মাম ফলের উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে সাম্মাম ফলের চাষে আগ্রহ বেড়ে যাবে। উপজেলায় এই প্রথম সাম্মাম ফল চাষ করে বাজিমাত করেছে। উপজেলায় কৃষিতে সৌদি আরবের ফল সাম্মাম চাষে নতুন স্বপ্ন যাত্রা যুক্ত হয়েছে।