মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জজিরায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়নের লতিফ ফকিরের কান্দি এলাকায় অর্ধ শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বেপারী ও সাবেক ইউপি সদস্য লতিফ ফকিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র অর্ধ শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ও ঢাল-শর্কি, টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বেপারী, করিম মাদবর, দুদু মিয়া মুন্সী, কামাল মুন্সী, আক্তার মুন্সী, রহিম মাদবর, সুফিয়া বেগম ও এনামুল মোল্লাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত কাশেম বেপারীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য লতিফ ফকির বলেন, আমাদের সমাজে অনেক দিন আগে থেকেই মসজিদ রয়েছে। কিন্তু কাশেম বেপারী ও তার দলবলের লোকেরা প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে ৫০ গজের মধ্যে আরেকটি মসজিদ জায়গা নির্ধারণ করতে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কাশেম বেপারীর লোকজন আমার উপরে অতর্কিতে হামলা চালায়। মূলত আমি মসজিদ নির্মাণে বাধা দেইনি। মসজিদ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আবুল কাশেম বেপারীর ছেলে লিখন আহমেদ বলেন, লতিফ ফকিরের কান্দির মাদবর এবং মুন্সী সমাজে মসজিদ নির্মাণ বিষয়ে আলোচনায় বসলে লতিফ ফকির ও তার দল-বল আমাদের উপর ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমার বাবাসহ আমাদের সাতজন আহত হয়। এ বিষয়ে আমরা মামলা করব।
পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নাওডোবায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রীয় করা হয়। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
