
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাজারে প্রচুর জলপাই ওঠতে শুরু করেছে। এখন জলপাইয়ের ভরা মৌসুম। দাম বেশিতে খুশি জলপাই চাষিরা। উপজেলার হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর জলপাই ওঠতে শুরু করেছে। চাষিরা কাক ডাকা ভোর থেকে বস্তায় ও ডালিতে করে গাছ থেকে পাড়া উৎপাদিত জলপাই বিক্রির জন্য বাজারে আনছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জলপাইয়ের কদর ও দাম বেশি। প্রতিমণ জলপাই রকম ভেদে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় কেনা বেচা চলছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষিকর্তা ইমরান হোসেন জানান, আক্কেলপুর উপজেলায় প্রায় আড়াই হেক্টর জমিতে ৩ হাজারের অধিক জলপাই গাছ রয়েছে। এ মৌসুমে জলপাইয়ের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ মে. টন। উপজেলার আউয়ালগাড়ি গ্রামের দেলাওয়ার হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাদিমুজ্জামান নাদিম, আব্দুল জব্বার, রোয়ার গ্রামের আবু কালাম, ও উলিপুর গ্রামের আবু হোসেন, সাদেক হোসেন, পালশা গ্রামের আবু সাঈদ, লুৎফর রহমান, মুনইল গ্রামের আমিনুর রশিদ, কানুপুর গ্রামের আজমল হোসেন, সান্তা গ্রামের সকেল হোসেন, আসলাম হোসেন জানান, ৬ হাজার মণের অধিক বা ২০০ টনের অধিক জলপাই এ মৌসুমে উৎপাদিত হবে।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারের দীনা ফল ভান্ডারের মালিক দেলায়ার হোসেন জানান, উপজেলার বড় বড় ৫টি হাটের মধ্যে শুধু প্রতিদিন আক্কেলপুর বাজারে জলপাই আমদানী হয় ২০০ থেকে ৩০০ মণ। প্রতিদিন তার আড়ত-এ জলপাই ক্রয় করেন প্রায় ২০০ মণ। জলপাই প্রক্রিয়াজাত করার জন্য তিনি ৮/১০ জন শ্রমিক নিয়োজিত করেছেন। তিনি বাজার থেকে কেনা জলপাই প্রাণ কোম্পানির কাছে সরবরাহ করে থাকেন। দামের বিষয়ে তিনি জানালেন অন্য বছরের তুলনায় এ বছর জলপাইয়ের দাম অনেক বেশি। প্রতিমণ জলপাই ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় কেনাবেচা চলছে। উল্লেখ্য, জলপাই চাষ করতে জলপাই গাছে কোনো প্রকার রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করতে হয় না। এখনও জলপাই উৎপাদিত হচ্ছে প্রাকৃতিগতভাবেই। উপজেলার প্রায় বাড়িতে ও পাড়ায় বন্যানিয়ন্ত্র বাঁধের ওপর এখন জলপাই গাছ দেখা যায়। দিন দিন জলপাইয়ের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে।