ভালো ফলনেও লোকসানের শঙ্কায় বরগুনার পান চাষিরা
* ফলন ভালো হলেও দামে খুশি নয় চাষিরা * ঋণ পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা চাষিরা * গত বছর পানের চলি ছিল ৫০-৬০ টাকা যা এখন ২৫ টাকা * দামের পতনে পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে এ বছর ১৪৬ হেক্টর জমিতে পানের বরজ চাষ করা হয়েছে। প্রতি বছরই এ সময় শীতের শুরুতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে ছত্রাকজনিত অজ্ঞাত রোগের কারণে প্রতি বছরই কিছু না কিছু পান পচে গিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শীতের শুরু থেকেই পান গাছের কোনো ক্ষতির কোনো আশক্সক্ষা নেই । গত ১৫ দিনে বাজারে পানের চাপ বেশি থাকলেও দামের দিকে হতাশ চাষিরা। প্রথম দিকে বাজারে পানের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কমে গিয়েছিল। বর্তমানে পানের সংকট না থাকায়ও চাষিরা বেশি বা চড়া দামে বিক্রি করতে পারছেন না বাজারে এমনটাই পান বিক্রেতারাই জানিয়েছেন। কিন্তু বরজে প্রচুর পান দেখা গেলেও বাজারে কম দামে সরবরাহ করতে হচ্ছে চাষিদের। জানা গেছে, অনেকে ব্যাংক ঋণ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পান চাষিরা। আগে পান চাষিরা বাজারে এক চলি (৩৬ পিস) ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে অবাধে আবার ছোট পানের চলি ৭-৮ টাকা। তবে পানের দাম কম থাকায় চাষিরা বিপাকে পরেছেন। গত বছর ৫০-৬০ টাকা পানের চলি ছিল। এ বছর চাষিরা পানের ব্যাপক ফলন পেয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পান চাষিরা হতাশ হয়ে পরেছন উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, চাওরা, হলদিয়া, আঠারোগাছিয়া, আরপাংগাশিয়া, আমতলী সদর ইউনিয়নসহ উপজেলার সব পান চাষিরা বিপাকে পরেছেন। এতে অর্থনৈতিকভাবে মন্দায় পরেছেন। আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের মোক্তের মেম্বর বাড়ির পানচাষি মো. ফরিদ হাওলাদার জানান, তার ২০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ রয়েছে। পানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পান খুব ভালো হলেও দাম খুবই কম। সর্বোপরি লাভের পরিবর্তে লোকসান হবে। এমন দুরাবস্থার হাল ধরতে হতে পারে। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাসেল মিয়া জানান, এ বছর আমতলী উপজেলায় ১৪৬ হেক্টর জমিতে পানের বরজ চাষ করা হয়েছে। এতে পান চাষিদের এ মৌসুমে ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। তাদের আর্থিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। বরাদ্দ এলে সহায়তা করা হবে।
