দেবহাটায় ইছামতির বেড়িবাঁধে ভাঙন
তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আট গ্রাম
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত নদী ইছামতির বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার কারণে কয়েকটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। গত কয়েক মাসে উপজেলার প্রায় আট কিলোমিটারের মতো সীমান্ত ঘেষা ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে মারাত্মকভাবে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করে সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে সামান্য কাজও কিছু করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকমাস পার হলেও স্থায়ী বাঁধ বা পাকা ব্লক দিয়ে
বেড়িবাঁধ রক্ষায় কার্যকারী কোনো কাজ শুরু না হওয়ায় এরইমধ্যে ভাঙনকৃত স্থানে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার কোমরপুর এলাকার বেড়িবাঁধে আবারও ধস দেখা দিয়েছে। যা স্থানীয় জনগনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইছামতি নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা কোমরপুরের বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ ন ম বজলুর রশীদ। তিনি এ সময় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও উপজেলার টাউনশ্রীপুর, শীবনগর, বসন্তপুর ও নাংলা এলাকার কিছু বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা সম্পদ রক্ষার জন্য তাদের খাওয়া ঘুম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইছামতি নদীর পানির চাপে ৭-৮টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানান। তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ এবং গুটিকয়েক মানুষের ঠেলা জাল নদীতে ফেলার কারণে দেবহাটার সীমান্ত নদীর বাঁধ অনেক বেড়িবাঁধ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিক অতিবর্ষণ বাঁধটিকে আরও দুর্বল করে ফেলেছে। গ্রামবাসী আরও জানান, চিংড়ি চাষিরা খেয়ালখুশি মতো ছোট বাঁধ দিয়ে মূল বাঁধের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। বেড়িবাঁধের গা ঘেঁষে পোনা ধরা এবং বালু তোলার কারণে বাঁধটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত কয়েকবছরে বেড়িবাঁধ ভাঙতে ভাঙতে আমাদের দেশের অনেক জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের শীবনগরের পাশে রাজনগর মৌজা ইছামতির নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
