মৌসুম শুরু হলেও মাঠে নেই লবণ চাষিরা
প্রতি মণে লোকসান ১৫০ টাকা
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার অফিস
গত বছর থেকে লবণের দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। মাঠপর্যায়ে এখনও এক মণ লবণের দাম ২৩০-২৪০ টাকা। অথচ প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে খরচ পড়েছে অন্তত ৪০০ টাকা। দামের এই অনিশ্চয়তায় হতাশ লবণ চাষিরা। ফলে উৎপাদনের মৌসুম শুরু হলেও মাঠে নামতে সাহস পাচ্ছেন না অধিকাংশ লবণ চাষি। দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূল। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ার উপকূলে লবণের চাষ হয়; যা থেকে পূরণ হয় দেশের সার্বিক লবণের চাহিদা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) আওতাধীন কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নে মৌসুমের প্রথম লবণ উৎপাদন হয়। তখন এ উপজেলায় ৬ হাজার ৭৫৮ একর জমির মধ্যে ৭০ শতাংশ জমি উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করেছিল চাষিরা। প্রথম সপ্তাহে উৎপাদন হয়েছিল ৫৫ টন লবণ। পাশাপাশি পেকুয়া, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৪০-৫০ শতাংশ জমিতে চাষিরা মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু এ বছর মৌসুম শুরু হলেও কুতুবদিয়া ছাড়া অন্য জায়গায় গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চাষিরা মাঠে নামেননি বলে জানান বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া। তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়া থাকায় চাষিদের মাঠে নামতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে লবণ উৎপাদন হতে আরও অন্তত ২০-২২ দিন লেগে যাবে। গত মৌসুমে প্রতি কানি জমিতে (৪০ শতক) লবণ উৎপাদনে ৩৫ হাজার টাকা করে লোকসান হয়েছে কুতুবদিয়ার লেমশী খালীর লবণ চাষি আবদুল গফুরের। তিনি জানান, দাম না থাকায় এবার লবণ চাষে নামতে সাহস করছেন না চাষিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লবণ উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ানোর জন্যে জমি মালিকেরা চাষিদের কানি প্রতি জমির লাগিয়ত ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে।
