বালু উত্তোলন করায় দুই জনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত ২ জনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর এর নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা করেন। জানা যায়, উপজেলার ধলাই নদীর একাধিক স্থান থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে। লিজের বাহিরেও বালু উত্তোলনের পর কৃষিজমিতে স্তূপকৃত হচ্ছে। এতে মানা হচ্ছেনা কোনো আইন। ড্রেজার মেশিনে উচ্চ শব্দে বালু উত্তোলনে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ধসে পড়ছে।

তবে ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালু মহালের ইজারাদারের প্রতিনিধি বদরুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা এবং অন্য ইজারাদারের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাটি ও বালি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে বালু উত্তোলনের ফলে ধ্বংস করা হচ্ছে দেশের সম্ভাবনাময়ী সম্পদ। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জনজীবনে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক হুমকি। তবে বালু উত্তোলনকারীরা দাবি করছে ইজারা নিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে এ বছর দুই খণ্ডে দুইজন বালু ইজারাদার থাকায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত ৮ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় সোয়েব আহমদ তরফদার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ খোরশেদ আলমকে প্রধান আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় মামলাও রয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে বালু মহাল ইজারাদারের প্রতিনিধি ইমন আহমদ তরফদার বলেন, আমরা ধলাই নদীর প্রথম খণ্ড এক কোটি ৯০ লাখ টাকায় ইজারা গ্রহণ করি। তবে অন্য ইজারাদার খোরশেদ আলম অবৈধভাবে ব্রিজের নিচ ও আমাদের প্রথম খণ্ড থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। এনিয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। তিনি কোনো সাড়া দেননি। ফলে গত ৮ নভেম্বর আমাদের অংশে বালু উত্তোলন করার সময় আমরা বাঁধা দিলে খোরশেদ আমাদের ওপর দলবল নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের ৬ জনকে জখম করে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর মৌজায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ জন ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় ৫ লাধ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।