১১১ প্রকল্পে বদলে যাবে রামুর গ্রামীণ জনপদ
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার অফিস

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বৌঘাটা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) এর অধীনে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরী।
গত মঙ্গলবার তিনি সারাদিনব্যাপী রামু উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কচ্ছপিয়া ও ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ, ঈদগড় ও গর্জনিয়া বাজার, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এলাকা, কচ্ছপিয়া ও ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ, আসন্ন নির্বাচনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র এবং গর্জনিয়া অংশে বাকখালি নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় বৌঘাটা ডিডিএম সড়কের দুপাশে ৫ শতাধিক সুপারি চারা রুপন করা হয়।
সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে ইউএনও এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রহণ করা ১১১টি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে রামুর যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি সৃষ্টি হবে। বৌঘাটা ডিডিএম সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দেবেশ চন্দ্র দাস জানান, বৌঘাটা বাজার থেকে নতুন পাড়া গ্রামের সংযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার সরাসরি উপকৃত হবে। এটি বৌঘাটা থেকে ঈদগড় বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচল আরও সহজ হবে। পাশাপাশি এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনেও সুবিধা বাড়বে।
রামু প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস(পিআইও) সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রামু উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ভিত্তিক বরাদ্দকৃত ২,০৪,৯৭,৬৮৮.৬১ টাকা ব্যয়ে ৩৮টি প্রকল্প এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত ১,৬৪,৬৫,৫৭৪.৪৬ টাকা ব্যয়ে ৭৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এইচবিবিকরণ, সিসি ঢালাইকরণ, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট, পুকুরপাড় সংস্কারসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
সচেতন মহলের অভিমত, বৌঘাটা সড়কের দুপাশে ৫ শতাধিক সুপারি চারা রোপণের এই প্রকল্পটি একটি বহুমুখী সফলতা এনে দেবে। এটি একাধারে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি এলাকার দৃশ্যপটকে দৃষ্টিনন্দন করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।
