শৈলকুপায় জনবল সংকটে বন্ধ মিনি মৎস্য হ্যাচারি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এইচ এম ইমরান, ঝিনাইদহ

মাছের রেণু উৎপাদন বাড়াতে ১৯৮২ সালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কোর্টপাড়ায় নির্মাণ করা হয়েছিল মিনি মৎস্য হ্যাচারি। প্রায় চার দশক আগে প্রতিষ্ঠিত এই হ্যাচারিটি এক সময় এলাকায় মাছের রেণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন তা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শুরুর দিকে স্বল্পপর্যায়ে রেণু উৎপাদন হলেও মান নিয়ে চাষিদের অভিযোগ বাড়তে থাকায় ধীরে ধীরে কমে আসে এর চাহিদা। ১৯৮৬ সালের দিকে পুরো হ্যাচারিটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৫ সালে মৎস্য বিভাগ আবারও কিছুদিনের জন্য রেণু উৎপাদন কার্যক্রম চালু করে। কিন্তু জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার অভাবে একই বছরের শেষ দিকে হ্যাচারিটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।
উপজেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, হ্যাচারিটি চালু থাকলে প্রতি মৌসুমে অন্তত ৪০ কেজি রেণু উৎপাদন করা সম্ভব। যা থেকে পোনামাছ উৎপাদন হবে প্রায় ৪০ লাখের বেশি। স্থানীয় মাছ চাষিরা বলছেন, হ্যাচারিটি বন্ধ থাকায় তারা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। এখন তাদের দূরদূরান্ত থেকে বাড়তি দামে রেণু সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
মাছ চাষি আয়ুব আলী বলেন, এখানে যদি আগের মতো রেণু পাওয়া যেত, তাহলে আমাদের খরচ অর্ধেক কমে যেত। এখন ঝিনাইদহ শহর বা পাশের জেলা থেকে রেণু আনতে বাড়তি টাকা লাগছে, সময়ও নষ্ট হচ্ছে। অন্য চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাচারিটা বন্ধ পড়ে থাকায় এলাকার চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার যদি আবারও এটি চালু করত, তাহলে স্থানীয়ভাবে ভালো মানের পোনা পাওয়া যেত। এতে উৎপাদনও বাড়ত।
স্থানীয়রা জানান, হ্যাচারিটি দীর্ঘদিন অচল থাকায় ভবন, ট্যাংক এবং যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোনো উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে এটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়বে।
চাষিদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে হ্যাচারিটি সংস্কার করে নিয়মিত উৎপাদন শুরু করলে এলাকায় মাছ চাষ আরও বেগবান হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন তারা। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এই মিনি হ্যাচারিটি পুনরায় চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। শৈলকুপা মৎস কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত জনবল ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় হ্যাচারিটি পরিত্যক্ত ছিল। ২০২৪ সালে একটি বরাদ্দের মাধ্যমে হ্যাচারিটি পুনঃসংস্কার করা হয়েছে। এবছর থেকেই রেণূ উৎপাদন করা হবে বলে আশা করছি।
ফায়ার মহড়ায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর, বিমানবন্দরের স্যাটো সাধন কুমার মহন্ত, সহকারী পরিচালক (ফায়ার) আব্দুল্লাহ আল মমিনসহ বিমানবন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, শাহ আমানত এয়ারপোর্টের অগ্নি নির্বাপণ কাজে নিয়োজিত জনবল, যানবাহন ও ইকুইপমেন্টের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে একটি মাঝারি স্কেলের মহড়া চালানো হয়েছে। বিমানবন্দরের কার্গো ওয়ার হাউস সংলগ্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপণ মহড়া চলে। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক সম্পন্ন হয়েছে। আগুনেও মহড়ার স্ক্রিপ্ট সময় অনুযায়ী নির্বাপণ করা হয়।
