রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীর শাস্তি

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনজন শিক্ষক ও পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত মঙ্গলবার ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সিন্ডিকেট সভায় ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে ৩ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত ও ১০ বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুইজন শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও দুইজন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে ৩ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত ও ১০ বছর পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ফাইনাল টার্মিনেশনের জন্য সর্বশেষ তদন্ত কমিটি করা হয়। সেখানেই স্থায়ী সিদ্ধান্ত আসবে। তার আগ পর্যন্ত দুজনেই বরখাস্ত থাকবে।

অন্যদিকে, গত ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হেদায়েত উল্লাহর কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে একই বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খবরের কাগজ পত্রিকার সাবেক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম সুমন ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।