চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)- কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শুরু হয়েছে গ্রিন আর্কিটেকচার নিয়ে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ চলমান 3rd International Conference on Green Architecture (ICGrA 2025) চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করেন চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া।

এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী খোলেকুজ্জামান চৌধুরী, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এসএম নাজমুল ইমাম, কনফারেন্স সভাপতি ও বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার এবং বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবুন নাসরিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেনবোর্ন এর আর্কিটেকচার, বিল্ডিং অ্যান্ড প্ল্যানিং ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসা নোগুচি (Masa Noguchi) এবং আরবানা বাংলাদেশ এর প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট আর কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। এতে সঞ্চালনা করেন, চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডসাং প্রু মারমা অপি এবং নাহরীন আহমেদ নক্ষত্র।

এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, তরুণরাই টেকসই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। তরুণদের সৃজনশীলতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিই আগামী দিনের বাসযোগ্য বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে। আজকের বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানদানকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং উদ্ভাবন, নীতি প্রভাব এবং শিল্পখাতকে রূপান্তরিত করার চালিকাশক্তি। তিনি আরও বলেন, ভবন ও কমিউনিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধু পরিবেশবান্ধবই নয় বরং মানুষের সুস্বাস্থ্যের সহায়ক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই হওয়া উচিত। এ ধরনের লক্ষ্য অর্জনে স্থপতি, প্রকৌশলী, পরিকল্পনাবিদ ও গবেষকদের আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা অপরিহার্য।

স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষ স্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চরা অংশ নেন। এতে ২ জন কি-নোট স্পিকার উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর উপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা।

বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২ দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোস্টার উপস্থাপিত হবে।

কনফারেন্স উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগে দুই দিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে।