
রাঙামাটি ফিসারি বাঁধে ‘সওজের লেক ভিউ পর্যটনের নতুন আকর্ষণ। রাঙামাটি শহরের ফিসারি সংযোগ বাঁধের পাশে পর্যটন সম্ভাবনার এক নতুন নান্দনিক রূপ দিয়ে সাজিয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সওজের লেক ভিউ গার্ডেন পরিকল্পিত ও দৃশ্যমান। এরইমধ্যে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটক মৌসুমে নান্দনিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতা ছড়িয়ে এই লেক ভিউ গার্ডেন ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে। আধুনিক স্থাপনা ও বিভিন্ন জাতের ফুল এবং গাছ রোপণ করায় স্থানটি আরও দৃষ্টিনন্দন গড়ে তুলেছে। সবুজ নির্মিত গ্যালারি ও বেঞ্চ দিয়ে কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য চমৎকার এই স্থানে বসে উপভোগ করছে সকলে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিকল্পনায় অক্লান্ত পরিশ্রম কওে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন বাগানটি পযার্টক ও ভ্রমণপিপাসুদের জনপ্রিয়। স্থানীয় বাসিন্দা পর্যাটকরা পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে লেকভিউ পার্কে ঘুরতে আসে। নতুন নির্মিত ওয়াকওয়ে দিয়ে সকাল বিকাল দলে দলে নারী পুরুষ হাটার সময়ে কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা যায়। এমনিতেই রাঙামাটিতে পর্যাটকদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র তেমন নেই। ফুরমোন পাহাড়ে ক্যাবল স্থাপন করলে পর্যাটকদের বাড়তি আকর্ষণে পর্যটন শিল্পকে দৃষ্টি নন্দন করে তুলবে।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পেটি বাস্তবায়নের করার আগে স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে স্থানে পরিকল্পনা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। প্রকল্পটি মূলত বাস্তবায়িত হয় নদী ভাঙনের প্রতিরোধ ভিত্তি করে। কাপ্তাই হ্রদের ভাঙন রোধে প্রায় ১০ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ফিসারি সংযোগ বাঁধ। সংযোগ সড়কের একপাশে বিস্তৃত জায়গা দৃশ্যমান হয়। রাঙামাটিতে যত্রতত্র অবৈধ দখলদার বেশি। যেমন সনাতন ধর্মের প্রার্থানার জন্য সংযোগ সড়কের মাঝখানে কর্ণারে বেদখল করে রেখেছে। যাতে এই ধরনের অবৈধ দখল না ঘটে সেই কারণে সওজ তাদের নিজস্ব মেইন্টেনেন্স ফান্ড থেকে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরইমধ্যে সড়ক বাঁধে নতুন বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ে পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করতে হলে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সময়ে দাবি বলে জানায় অভিজ্ঞ মহল।