স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ বরখাস্ত

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের এক সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অপহরণের শিকার ওই শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর সাদ্দাম বাজার গলির বাসিন্দা। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, এরআগে কুষ্টিয়া ট্যুরিস্ট পুলিশে আসামি মো. স্বপন (২৬) কর্মরত থাকলেও বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকায় চাকরি করছেন। গত পাঁচ মাস ধরে আসামি স্বপন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস অহনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি জানার পর পরিবার মেয়েকে সতর্ক করেন এবং আসামির সঙ্গে যোগাযোগ নিষিদ্ধ করেন। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে, ভাড়া বাসার সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় স্বপনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন মোটরসাইকেলে এসে অহনাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় পরে থানায় মামলা করতে বাধ্য হন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী শামসুল আলম জানান, আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করি দ্রুতই ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারব। এ বিষয়ে ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মখলেসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সেখানে মামলা হয়েছে সেখানে খোঁজখবর নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে আমরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য স্বপনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সচেষ্ট। আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি দ্রুতই আসামিকে আটক করে ভিকটিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। মামলার বাদী জানান ঘটনার ২৪ দিন পরও আমার মেয়ে উদ্ধার হয়নি। মেয়ে বেঁচে আছে কি না জানি না। আমরা দ্রুত মেয়েকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে চাই।