রাণীরবন্দরে তৈরি শীতের পোশাকের চাহিদা দেশজুড়ে
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার গ্রামীন শহর রাণীরবন্দর তৈরি শীতের ছেলেদের জ্যাকেট মেয়েদের কোটসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক যাচ্ছে রাজধানিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র পোশাক কারখানাগুলোতে শীতের পোশাক তৈরিতে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, রাণীরবন্দরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠছে ১৫ থেকে ২০টি ক্ষুদ্র পোশাক তৈরির কারখানা। পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে। সব বয়সের মানুষের জন্য শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন কারিগররা। এসব কারখানায় শিশু থেকে শুরু করে বড়দের জন্য বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট থেকে শুরু করে মেয়েদের জন্য ফ্যাশনের কোট শীতের পোশাক তৈরি হচ্ছে। যা শোভা পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শো-রুমে। এসব কারখানায় কেউ কাপড় কাটছেন। কেউবা সেই কাপড় মেশিনে সেলাই করছেন। সব কাজ শেষে লাগানো হচ্ছে বোতাম ও চেইন। কেউবা তৈরি পোশাক ক্যালেন্ডার করছেন। অন্যস্থানে করা হচ্ছে নতুন নতুন ডিজাইনের কাজ। কারখানার সেলাই মেশিনের শব্দই বলে দিচ্ছে কারিগরদের কর্মব্যস্ততা। শ্রমিকরা চাহিদানুযায়ী পোশাক তৈরি করছেন। ব্যবসায়িরা বলছেন মৌসুমে অন্তত কয়েক কোটি টাকার কেনাবেচা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মানিক গার্মেন্টসের কারিগর আলমগীর হোসেন বলেন, আমি আগে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেছি বাসার পাশে রাণীরবন্দরে বিভিন্ন ছোট ছোট পেশাক তৈরি কারখান হয়েছে। তাই ঢাকা থেকে বাসায় আসে মানিক গার্মেন্টসে কাজ করছি ঢাকায় কাজ করে যে মজুরি পেতাম এখানে কাজ করে সেই মজুরি পাচ্ছি। ঢাকায় কাজ করলে থাকা খাওয়া সব মিলে খরচ বেশি কিন্তু এখনে কাজ করে বাসা থেকে যাওয়া আসা করছি খরচ কম আয় ভলো হচ্ছে। সুমাইয়া গার্মেন্টসের কারিগর মশিউর রহমান বলেন, আগে চট্রগ্রামে পোশাক কার খানায় কাজ করেছি। এখন বাসার কাছে খারখানয় কাজ করছি। এখানে এখন শীতের জ্যাকেট তৈরি করছি। শীত শেষ হলে পাঞ্জাবি শার্ট তৈরি করব। শীতের সময় কাজ বেশি থাকে আমাদের হাতের তৈরি শীতের পোশাকের চাহিদা মার্কেট বেশি আমরা একেক জন কারিগর দিকে ১২ থেকে ১৪ পিচ জ্যাকেট তৈরি করি। দিতে ৮০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা মজুরি পাই। রাণীরবন্দরে পোশাক কারখার তৈরি হওয়ায় আমাদের মত অনেকেই ঢাকা থেকে চলে আসে এখন রণীরবন্দরের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করছে। মা গার্মেন্টসের স্বত্তাধিকারী আাতিয়ার রহমান বলেন, আমি ২০১২ সালে মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়ে শীতের পোশাক তৈরির কাজ শুরু করি। দীর্গ ১২ থেকে ১৩ বছরে মোটমুটি একটা ভালো পর্যায়ে এখন আসতে পেরেছি। আমার কারখানায় প্রায় ৩০ জন কর্মচারি কাজ করে। আমাদের তৈরি শীতের জ্যাকটেস বিভিন্ন পোশাক ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। আমি মনে করি আমার মত অনকে ছোট ছোট কারখান রাণীরবন্দরে গড়ে উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা আরো ভালো করতে পারব।
সুমাইয়া গার্মেন্টসের স্বত্তাধিকারী শাহজাহান আলী বলেন, শীত উপলক্ষে আমাদের কারখানয় এখন তৈরি হচ্ছে ছেলেদের জ্যাকেট মেয়েদের কোট। মার্কেটে আমাদের তৈরি শীতরে জ্যাকেটের চাহিদা বেশি। প্রচুর অর্ডার আছে কিন্তু আমার মাল তৈরি করতে পারছিনা সেভাবে। আমাদের বড় মার্কেট হচ্ছে সৈয়দপুরে। সেখানে সারাদেশর পাইকাররা মাল নিতে আসে। আমরাও ঢাকা নীলফামারী, ঠাকুররগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারী বাজারে বিক্রি করি। তবে বর্তমানে একটু সমস্যা হচ্ছে- সব মালে সিন্ডিকেট, তুলাতে সিন্ডিকেট, কাপড় পাওয়া যায়না। তিনি আরে বলেন, বাজারে আমাদের তৈরি পোশাকের দাম ভালো আছে তবে আগের মত সুবিধাজনক নয়। আগে যেটা সহজভাবে করা যেত এখন সেটা যায় না। মার্কেটে টিকে থাকতে হলে অনেক কম্পিটিশন করে টিকে থাকতে হয়।
