আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে এবার আগাম জাতের আলু চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে এ আলু গাছের সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে নতুন আলু বাজারে উঠছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে এ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা লাভজনক এ চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার বেশি করেছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে এবং এছাড়া রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে এ চাষাবাদ বেশি করা হয়েছে এবং আগাম জাতের নতুন আলু বাজারে উঠছে। প্রতি কেজি আলু গড়ে ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং বাজারে কদরও বাড়ছে। আর পুরাতন আলু গড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০/২৫ টাকায়। এ কারণে গত বছরের আলু নিয়ে আলু মজুদ ব্যবসায়ীরা এখন বিপাকে পড়েছে। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী লোকসান গুনছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছে এবং দেশি জাতের আলু এখনও রোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২/১ মাসের মধ্যে বাজারে উঠবে। গত অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে আগাম জাতের আলুর বিজ রোপন করে এবং চলতি মাসের প্রথম থেকে এ আলু বাজারে উঠছে।

এ আলু প্রতি বিঘায় গড়ে ২০/২১ মণ উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে চরাঞ্চলে এ আলুর উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ থেকে এ আলু চাষে স্থানীয় কৃষকদের যথানিয়মে পরামর্শ দেয়া হয়। এরইমধ্যে চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম মঞ্জুরে মওলা বলেন, এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষাবাদ বেশি করেছে কৃষকেরা এবং আগাম জাতের আলু চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।