নির্মাণের ছয় মাসেই ব্রিজের দুইপাশের সংযোগ সড়কে ধস
প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের ৬ মাসের মাথায় ধসে পড়েছে দুইপাশের সংযোগ সড়ক। এতে করে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। গতকাল সোমবার সকালে এমন চিত্র দেখা যায় উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী ঘোড়ামারা বাজার সংলগ্ন এলাকায় নবনির্মিত ব্রীজটিতে। এলাকাবাসীর দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের দুইপাশের সংযোগ সড়কটি সংস্কার করেঝুঁঁকিমুক্ত করা হোক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ঘোড়ামারা বাজার সংলগ্ন ঝিনাই শাখা নদীর ওপর ৬ মাস আগে নির্মাণ করা হয় ১৪০ মিটার গার্ডার ব্রীজ ও দুইপাশে ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়ক। যার কাজ পান জামালপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ।
ব্রীজটি নির্মাণ করতে খরচ হয় ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ ২২ হাজার ১৩৬ টাকা। এই ব্রীজ দিয়ে উপজেলার আদ্রা, চর রৌহা ও পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু নির্মাণের ৬ মাসের মাথায় ব্রীজটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক ধসে পড়ে। এতে করে ব্রীজপর দুইপাশে তৈরি হয় বিশাল গর্ত। সংযোগ সড়কের এ অবস্থার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহন ও স্থানীয়দের। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা যানবাহনের দূর্ঘটনা। তবে ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, নিম্ন মানের কাজ করার কারণে যখন ব্রিজটি কাজ করা হয় তখনই এলাকাবাসী বাঁধা দিয়েছিলো। তবুও আ. লীগের ঠিকাদার ফারুক চৌধুরীর লোক ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে কাজটি করে যায়। এখন আমরা কাজের বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। ৬ মাস পার না হতেই এখনই সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। ঠিকদার খুবই নিম্ন মানের কাজ করছেন। এলাকাবাসী খুব ভয়ের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে। গর্তের ভিতরে অনেক মানুষ পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছে। শুকনো মৌসুমে এমন অবস্থা হলে বন্যার সময় আসলে এই ব্রিজের অবস্থা খুব ভয়াবহ হবে। দ্রুত ব্রীজের সংযোগ সড়ক মেরামত করে মানুষের চলাচলের সু-ব্যবস্থা করা হোক।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, আমি নতুন এসেছি। আমি এসে ব্রীজটির কাজ সম্পুর্ণ পেয়েছি। ব্রীজটি ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কাজ করে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ। সংযোগ সড়কের ধসে যাওয়ার খবর পেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাদেরকে একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। আশা করি অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
