কমলা চাষে ভাগ্য ফিরেছে করিমের
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুর উপজেলার শেষ প্রান্তে মুজগুন্নি গ্রামে গড়ে উঠেছে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় কমলালেবুর বাগান। উদ্যোক্তা আব্দুল করিম শূন্য হাতে শুরু করে এখন বছরে ৭০-৭৫ লাখ টাকা আয় করছেন। তার উদ্যোগ দেশের ফল উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলেছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি করা হয়। এই বাস্তবতায় দেশীয়ভাবে বিদেশি জাতের কমলা উৎপাদনকে কৃষি কর্মকর্তারা স্বনির্ভরতার বড় সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। আব্দুল করিম ২৫ বিঘা জমিতে চায়না কমলা, হলুদ মাল্টা ও কুল চাষ করছেন। ১৯৯৭ সালে নার্সারি ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু। ১২ বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে কমলা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে বাগান পরিচালনায় বছরে ৩০-৩৫ লাখ টাকা খরচ হলেও ৭০-৭৫ লাখ টাকা আয় হয়। তার বাগানে প্রতিদিন কাজ করেন ২০ জন শ্রমিক, যাদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। মৌসুমে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় বাগানের কমলা। স্থানীয় বাজারে কমলা কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা এবং মাল্টা ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে, তার বাগানের কমলায় ১৩ শতাংশ রস পাওয়া গেছে, যেখানে আমদানি করা কমলায় থাকে মাত্র ৯ শতাংশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাম্মদ মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বিদেশি জাতের কমলা বাংলাদেশে সফলভাবে উৎপাদনের বাস্তব উদাহরণ এই বাগান। এটি এ অঞ্চলের কৃষিতে বড় অগ্রগতি। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ভিড় করেন। স্থানীয় কৃষকদের মতে, যশোরের উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়া বিদেশি ফল চাষে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। আব্দুল করিমের সাফল্য ফল আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে কৃষি অর্থনীতিতে নতুন গতি যোগ করবে।
