কেশবপুরে ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপ ইউপি নির্বাচন

হামলা-ভাঙচুরে নির্বাচনি মাঠ উত্তপ্ত

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের ভেতর সংঘর্ষ, নির্বাচনি কার্যালয়সহ প্রচার মাইক ভাঙচুর হামলা মামলা অব্যাহত থাকায় নির্বাচনি মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এসব ঘটনায় নিজ নিজ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০ ও ২৫ ডিসেম্বর রাতে গৌরিঘো ইউনিয়নে মোটরসাইকেল ভাংচুর ও পোস্টার ছেঁড়াসহ এলাকায় মহড়া দেওয়া হয়। ২৫ ও ২৮ ডিসেম্বর রাতে ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম আনিছুর রহমানের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বিকালে ত্রিমোহিনী বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম আনিছুর রহমান এলাকার শত শত নারী- পুরুষদের নিয়ে মানববন্ধন করেন। ওই রাতে পাঁজিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন মুকুলের কয়েক দফা প্রচার মাইক ভাঙচুর করাসহ পাঁচজন কর্মীকে মারধর করা হয়। একই রাতে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উত্তম ঘোষের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে মজিদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ূন কবীর পলাশের আনারস প্রতীকের প্রচার মাইক ভাঙচুর করে পাঁচজন কর্মীকে মারধর করা হয়। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একইদিনে কেশবপুর সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আলাউদ্দিনের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার মাইক ভাঙচুর এবং তার চারজন কর্মীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর রোববার রাতে উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাস ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের কর্মীদের মধ্যে কন্দর্পপুর এলাকায় সংঘর্ষ হয়। কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘœ সৃষ্টিকারিদের কোন ধনের ছাড় দেওয়া হবে না।