ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মতামত

অনলাইন ক্লাস কতটুকু শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব

অনলাইন ক্লাস কতটুকু শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব

বিশ্বায়ন উত্তরকালে যেমন পৃথিবীর অর্থনীতিতে ও সমাজে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল, তেমনি করোনার সময়ে এবং তারও পরে মানুষের জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় আমূল বদল এসেছে। অনলাইন ক্লাস পদ্ধতি বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রমে এক নতুন সংযোজন। যদিও এ ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম উন্নত রাষ্ট্রে পরিচালিত হয়ে আসছে অনেক আগে থেকে।

অনলাইন শিক্ষা হলো, এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা যা সাধারণ শ্রেণি শিক্ষা থেকে ব্যতিক্রম এবং এটি একটি ডিজিটাল শিক্ষাপদ্ধতি যা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজন হয়, আধুনিক প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার বা মোবাইল কিংবা এ জাতীয় কোনো ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ তা হতে পারে নেট ডাটার মাধ্যমে বা ওয়াই-ফাই বা ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে সংযোগকৃত। এ অনলাইন শিক্ষার জন্য রয়েছেÑ নির্দিষ্ট কিছু আচরণ বা শিষ্টাচার বিধি। মোটকথা, ইন্টারনেট নির্ভর এ যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে বিশেষ শিষ্টাচার ও শৃঙ্খলা বিধি মেনে কোনো ক্লাস পরিচালনা করাই হলো অনলাইন ক্লাস যেখানে একজন শিক্ষক ক্লাসরুমের বাইরে সুবিধাজনক যে কোনো স্থান থেকে পাঠদান করতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লাইভ ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে ও পারস্পারিক মতবিনিময় করতে পারে। শুধু স্বশরীরে উপস্থিতি ছাড়া একাডেমিক বাস্তব ক্লাসের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসের তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাসের বিস্তার ঘটছে অতিদ্রুত গতিতে। প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে অনলাইনে ক্লাস চালু করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কাছে বিষয়টি নতুন। তথাপি বিদ্যমান বাস্তবতার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের দিকে ঝুঁকছেন।

অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রমের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে অনেক আগে। এর ইতিবাচক দিকগুলোর পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক দিক সামনে চলে এসেছে। করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা অনেককে আশাবাদী করে তুলেছে। তবে অনেকে আবার সংশয়ও প্রকাশ করছেন।

অনলাইন ক্লাসের কথা এলেই একটি প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। আর তা হলো, অনলাইন ক্লাস কতটুকু শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব? এর সুবিধা বা অসুবিধার দিকগুলোও স্বাভাবিকভাবে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আলোচনায় স্থান পাচ্ছে।

আসলে অনলাইন ক্লাসের বিষয়টি নতুন, যা বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের ফলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গত দুই বছর অনেক কিছু স্থবির হয়ে গিয়েছিল। ২০২২ ইং জানুয়ারি মাসের শুরুর দিক থেকে অমিক্রন সংক্রমণের বিস্তার দ্রুত বিস্তার ঘটছে। বিশেষত গত ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সচল ছিল। ২৩ জানুয়ারি থেকে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে শিক্ষার কার্যক্রম আবারও হুমকির মুখে পড়ে গেল।

এ অবস্থায়, বিকল্প উপায় হিসেবে সরকার এবং দায়িত্বশীল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে টিউটোরিয়াল বা অনলাইনে জুম মিটিং এর মাধ্যমে ক্লাসের ওপর জোর দিচ্ছে। তাছাড়া সংসদ টিভিতে নিয়মিত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এ ক্লাসগুলো আমরা কতজন শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারছি এবং কতটুকু শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে পারছি? উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হলেও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে সর্বস্তরে ও সর্বজনে তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধার বিষয়টি এখনও ‘অতিকল্পনা’ স্বরূপ। শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। অনেক শিক্ষার্থী এমন আছে যাদের ‘দিনে এনে দিনে খায়’ অবস্থা।

এসব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস, নেট সংযোগ, ডাটা ও এক্সেস সুবিধা ব্যবহার করার মতো আর্থিক ও সামাজিক সঙ্গতিপূর্ণ অবস্থানে নেই। উপরন্তু যারা শহরাঞ্চলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, তারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কিছুটা অগ্রসর সুবিধা পেলেও গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারীরা, সেসব সুবিধা থেকে অনেকাংশেই বঞ্চিত।

ফলে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও গ্রাম এবং শহরের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়ে গেছে। শহরে যেখানে ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড সুবিধা বিদ্যমান, সেখানে গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি ততটা প্রসার লাভ করেনি।

এসব সুযোগ-সুবিধার স্বল্পতার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ও অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হচ্ছে। যেমন, দীর্ঘসময় ধরে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করে বলে তাদের চোখের ক্ষতি হতে পারে, চিকিৎসকরা এমন আশঙ্কা করেছেন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক শিক্ষক ক্যামেরা-ভীতিতে ভুগছেন। তারা সুন্দর, সাবলীল, বোধগম্য ও আকর্ষণীয় লেকচার দিতে পারছেন না। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশে শিক্ষকদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় এবং গার্ডিয়ানদের সচেতনতার অভাবে অনলাইন শিক্ষা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছে। অনলাইনে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা তাদের সব পড়া সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না, আর না বুঝলে শিক্ষকদের কাছে আবার প্রশ্ন করে বুঝে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই অনেক বিষয়ে পড়াশোনায় ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থী কী শিখছে, তা পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না। তাই পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। আবার কারও কারও মাথাব্যথা অনুভূতি হচ্ছে। দীর্ঘসময় চেয়ারে বসে ক্লাস করায় অনেক শিক্ষার্থীর ঘাড়ে ও পিঠের মেরুদ-ে ব্যথা হচ্ছে। যা দীর্ঘ সময় চলতে থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

ছোট ছোট শিশুরা অনলাইন ক্লাসের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হচ্ছে, যা তাদের বয়সের সঙ্গে খাপ খায় না। সময়ের আগে কোনো কিছুই ভালো না জেনেও আমরাই আজ তাদের ফেইসবুক, ইউটিউব চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছি, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হবে। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি স্বাধীন এবং তারা নানা অজুহাত খোঁজার পরিবেশ তৈরি করবে অনলাইন ক্লাসে। প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ইন্টারনেট কানেকশনের দুর্বলতার দোহাই দিয়ে অনেকেই শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বাইরে থাকার চেষ্টা করবে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার সুবিধা নেই। তারা পিতামাতা বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ক্লাস করছে। এতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক হানি ও ভুল বোঝাবুঝির মতো তিক্ততা সৃষ্টি হচ্ছে।

কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার মারাত্মক আসক্তি তৈরি করতে পারে। আমাদের স্বাধীন অনলাইন সেবায় প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলো গ্রহণ করার এবং তরুণরা নষ্ট হবার সব উপকরণ ও সুযোগ বিদ্যমান।

পরিবারের পক্ষ থেকেও তাদের আর বাধা দিতে পারবে না। অনলাইন ক্লাসের অজুহাত দেখিয়ে তারা নিজেদের ক্ষতিকর অনলাইন সাইটে সংযুক্ত করবে, যা আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পারস্পরিক যোগাযোগ, আলাপ-আলোচনা ও মিথষ্ক্রিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলবে দীর্ঘমেয়াদে। শিক্ষার্থীরা ঘরে থেকেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বা কথা বলার সুযোগ হারাবে।

এমন পরিস্থিতিতে কেউ জানে না, এ পরিস্থিতি কতদিন চলতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে এ অনলাইন ক্লাসের অন্যতম সুফল হলো, দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকা ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারছে। বাংলাদেশেও কিছু কিছু সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনলাইনেই ক্লাস, পরীক্ষা, ভাইবা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির অপ্রতুলতার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যবস্থা চালু করতে পারছে না, এটি একটি সমস্যা।

সরকারি হিসাবে দেশে প্রায় ৬৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৭ হাজারের মতো মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২ হাজার ৫ শত কলেজ রয়েছে, মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৫ কোটি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত করা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। দেশের অনেকগুলো এলাকা ইন্টারনেট এবং টিভির আওতায় নেই। ফলে অনেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এবার আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা প্রদান করছি, করোনাকালীন সময়গুলতে আমি অনলাইনের মাধ্যমে কিছু সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছি। ক্লাস নিয়েছি ও নিচ্ছি; কিন্তু অধিকাংশ সময় শান্তিপূর্ণভাবে আত্মতৃপ্তির সঙ্গে সমাপ্ত করতে পারিনি। শিক্ষার্থীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বহুবার। আর আমার থেকে শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা তো হরহামেশা। শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাসের মধ্যে শুধু আসা-যাওয়া করতে থাকে। তাদের অভিযোগ ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিগত সমস্যা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পাঠ অনুশীলন তো গ্রহণ করতে পারেই না বরং চরম বিরক্তি ও মানসিক চাপে থাকে। শিক্ষকের মনোযোগ বিনষ্ট হয় চরমভাবে।

শিক্ষার্থীরা যেসব পিসি বা ডিভাইস ব্যবহার করে, তাতেও থাকে পৃথক অসংখ্য সমস্যা। এছাড়া সারাক্ষণ অনলাইনে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করার কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

যদিও অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি সুশৃঙ্খল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষার একটি অত্যন্ত কার্যকর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে এটি সব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়। অনলাইন পদ্ধতি বা ডিজিটাল মাধ্যম ক্রমাগত অপরিহার্য হলেও সে মাধ্যম যদি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে, সেই সম্ভাবনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সরকারি পরিকাঠামোর অপ্রতুলতা মানুষকে দিশেহারা করে তুলবে।

জানি, অনলাইন ক্লাসের সম্ভাবনা অপার তবে তা পাশ্চাত্যের ধনী দেশগুলোতে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে অনলাইন শিক্ষাপদ্ধতিকে আপামর ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে হলে চাই সর্বাগ্রে পরিকাঠামোর উন্নয়ন, নতুবা তা অবান্তর স্বপ্ন হয়েই থাকবে।

একথা আমাদের সামনে স্পষ্ট যে সুবিধা ও সীমাব্ধতা যাই থাক না কেন, করোনাকালে অনলাইন শিক্ষাপদ্ধতি আমাদের শিক্ষাধারাকে অব্যাহত রাখার একমাত্র উপায়। আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের এ ব্যাপারে সচেতন থেকে সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে হবে। তাহলে অনলাইন শিক্ষার সুফল আমরা সবাই উপভোগ করতে পারব এবং জাতিও উন্নতির অনেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

তবুও আমরা একটি সুস্থ বিশ্বের, একটি সুস্থ পরিবেশের স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি জ্ঞান ও শিক্ষায় আলোকিত বাংলাদেশের। একসময় করোনার দুঃস্বপ্ন থেমে যাবে, যেমনটা ধুয়ে মুছে নিয়ে যায় এক পশলা বৃষ্টি! ততদিন আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনলাইন ক্লাসের দিকে আমাদের ঝুঁকতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা ও অসুবিধাগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠে অতিদ্রুত অনলাইন ক্লাসকে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত