ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বই হোক নিত্যসঙ্গী অর্থবহ হোক প্রাণের মেলা

বই হোক নিত্যসঙ্গী অর্থবহ হোক প্রাণের মেলা

বছর ঘুরে আবার চলে এসেছে ফেব্রুয়ারি মাস। প্রতি বছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে মাসব্যাপী বাংলা একাডেমির আয়োজনে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে এলেও গত বছর করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল। তবে মহামারির বিস্তৃতি ঘটায় নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে হয়েছিল বইমেলা। তবে এবছরও করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে বাংলা একাডেমির আয়োজনে অমর একুশে বইমেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা করার প্রস্তাব থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে বইমেলায় আগত দর্শনার্থী, বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলের বিক্রয় কর্মী, সংশ্লিষ্ট প্রকাশক সবাইকে করোনা টিকা গ্রহণের সনদ প্রদর্শন করে মেলায় প্রবেশ করতে হবে। করোনা মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে বইমেলার স্থায়িত্বের বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে যাই হোক, অনেক সংশয়, জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রাণের মেলা বহুল কাক্সিক্ষত অমর একুশে বইমেলার আয়োজন হচ্ছে, সেটাই পরম প্রাপ্তি বলে মনে করছি। অনেক ঝুঁকি নিয়ে বইপ্রেমী মানুষ, প্রকাশকদের কথা বিবেচনা করে বইমেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাতে হয়।

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বছর ঘুরে বারবার আসে অমর একুশে বইমেলা। ফেব্রুয়ারি মানেই রাজধানী ঢাকায় বইয়ের উৎসব। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন দীর্ঘদিন থেকেই আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক বইপ্রেমী সারা বছর ধরে ফেব্রুয়ারি মাস এবং এ মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার জন্য অপেক্ষা করেন।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণ থেকে মূল বইমেলা কিছু সরে এসে পাশের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহৎ পরিসরে বিস্তৃত আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতার ইতিহাসে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন চলে এলেও দিনে দিনে মেলায় আগত বইপ্রেমীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার আয়োজন রীতিমতো কঠিন হয়ে উঠেছিল। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে বইমেলার সূচনা হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতিবছর বইমেলা বিশাল থেকে বিশালতর আকার ধারণ করেছে। যতদিন যাচ্ছে ততই জমে উঠছে, বাঙালির প্রাণের বইমেলা। এখন প্রতিদিন বিকেলে মানুষের ভিড়ে মুখরিত বাংলা একাডেমি প্রান্তর এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এ যেন লেখক-পাঠকের এক মহাসমাবেশ। সেই সঙ্গে তরুণ-তরুণীদের তুখোড় আড্ডায় জমে উঠছে বইমেলা। প্রতিদিন মেলায় মোড়ক উন্মোচিত হচ্ছে অনেক নতুন বইয়ের। অমর একুশে বইমেলায় প্রবীণ প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় লেখকদের পাশাপাশি তরুণ নবীন লেখকদেরও বই আছে। মেলা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টলে দেখা যায়, তরুণ লেখকদের নতুন বই-ই বেশি। লেখক-পাঠকের সেতুবন্ধন গড়তে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা প্রতিবছর নতুন লেখকদের জন্য ভিন্নমাত্রা যোগ করে। আমাদের একুশের এ বইমেলার ব্যাপ্তি আর আমাদের ভূখ-ে সীমাবদ্ধ নেই, সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবেও আজ স্বীকৃত। যারা বইপ্রেমিক তারা সবাই এ বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এ বইমেলা যারা সাহিত্যচর্চা করেন, যারা প্রকাশক এবং যারা বই পড়তে পছন্দ করেন, সেসব ছোট্ট শিশু থেকে সব বয়সির চমৎকার এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষ্যে বিপুল বই প্রকাশিত হয়, যা প্রায় চার হাজার পর্যন্ত পৌঁছেছে। বলা যায়, এ মেলা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। এখন অনেক নতুন প্রকাশক এ শিল্পে এসেছেন। পাঠকের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটা সময় ধরে চলে। পৃথিবীতে আর কোনো বইমেলাই এতদিন ধরে চলে না। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে এটি পৃথিবীর দীর্ঘদিনব্যাপী আয়োজিত একটি বইমেলা।

এ মেলায় মানুষের আগ্রহ এতই বেশি, শুধু প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে নয়Ñ বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকেও গ্রন্থপ্রেমী বাঙালিরা এতে অংশ নেন। কিন্তু বাংলা একাডেমির ভেতরে অনেক নতুন ভবন এবং অবকাঠামো তৈরি হওয়ার ফলে এখানে আর বইমেলা করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমবর্ধমান পাঠক দর্শনার্থীর কারণে বইমেলার পরিসর বাড়িয়ে এর একটি বড় অংশকে গত কয়েক বছর ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর ফলে অমর একুশের স্মৃতিবাহী এ মেলাটির ঐতিহ্যের বিস্তার ঘটেছে। যে মেলা একুশের মহান ঐতিহ্যকে ধারণ করে এত বিশাল আকার করেছে, তা এখন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও সম্প্রসারিত হয়েছে। এ স্থান থেকেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাঙালির মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। এখানেই রয়েছে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও শিখা চিরন্তন। আরও আছে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ও স্বাধীনতা জাদুঘর। তাই এখানে বইমেলা সম্প্রসারিত হওয়ায় বাংলাদেশের বাঙালির জাতিসত্তার উদ্বোধনের স্মৃতিবাহী একুশের ঐতিহ্যের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনাযুক্ত হয়ে মেলাটি এখন নতুন আঙ্গিক, পরিসর ও মাত্রিকতায় স্থিত হয়েছে বলা যায়। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল ভাষা শহীদ বরকত, সালাম প্রমুখের বুকের তাজা রক্তে। স্বাধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামে নামার উত্তাল সূচনা হয়েছিল তখন, যা ইতিহাসের নানা ক্রমধারাবাহিকতায় ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে গড়িয়েছিল। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ পকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়েছিল, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছিল। মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই দিনে দিনে স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল এদেশের মানুষকে। ভাষা আন্দোলনের নানা স্মৃতিবাহী বাংলা একাডেমি চত্বর থেকে স্বাধীনতার লড়াই এবং স্বাধীনতা অর্জনের স্মৃতিবাহী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলার প্রসার আমাদের অতীত ইতিহাসের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর। আমাদের প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার প্রসার এবং স্থানান্তর সেই ইতিহাসেরই বহিঃপ্রকাশ যেন।

যারা মেলায় আসেন সবাই কিন্তু বই কেনেন না। ঘুরেফিরে বই দেখে, আড্ডা মেরে আবার খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। প্রত্যেকে যদি অন্তত একটি করে বই কিনতেন তাহলে আমাদের প্রকাশনা শিল্পে দারুণ এক গতির সঞ্চার হতো। প্রকাশরা সাধারণত বই প্রকশ করতে গিয়ে নানা আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েন।

মেলায় বই বিক্রির পরিমাণ যদি বাড়ে, তাহলে প্রকাশকরা অনেকটা স্বস্তিতে, স্বাচ্ছন্দ্যে বই প্রকাশ করতে পারেন। প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়। এত বেশি সংখ্যক নতুন বই এলেও এর মধ্যে বেশিরভাগ বই থাকে মানহীন। কোনোরকম সম্পাদনা ছাড়াই বইগুলো মলাটবন্দি হয়ে আসে। যেখানে অসংখ্য ভুল বানান থাকে। বাক্যবিন্যাসও থাকে যাচ্ছেতাই, এ ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ নিম্নমানের লেখায় সমৃদ্ধ অগনিত অসম্পাদিত বই পাঠকদের ভালো কিছু দেওয়ার বদলে শুধুই বিভ্রান্ত করে। মানহীন, আজেবাজে বইয়ের সংখ্যাধিক্য আমাদের পীড়া দেয়, অস্বস্তি জাগায় মনে। এ বিষয়ে প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট সবার বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বই প্রকাশের আগে এর সুসম্পাদনা প্রয়োজন। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা আমাদের সাহস দেয়, ডিজিটাল মাধ্যমের এ জয়জয়কারের মধ্যেও কাগজে বই হারিয়ে যাবে না। যারা বইমেলায় যান; কিন্ত কোনো বই কেনেন না, তাদের উদ্দেশে বলছি, একেকটা বই একেকটা জানালা। দরজা-জানালা বন্ধ আলোহীন বাতাসহীন ঘরে থাকতে গেলে দমবন্ধ হয়ে আসে। আমাদের বাঁচার জন্য, স্বস্তির জন্য, স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জানালা খুলতে হয়, তেমনিভাবে সুন্দর পরিপূর্ণ সমৃদ্ধ জীবনের জন্য মনের জানালা খুলতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে বই-ই হতে পারে একমাত্র প্রধান অবলম্বন। অতএব, আমাদের বই কেনার ক্ষেত্রে কার্পণ্য করলে চলবে না। বই হোক আমাদের নিত্যসঙ্গী। এটা আমাদের শপথ হোক। দিন দিন পড়ার অভ্যাস কমছে, তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেইসবুক, মোবাইল আর এসএমএস কালচারে যতটা মগ্ন, সে তুলনায় তাদের বই পড়ার সময় যেন একেবারে কমে গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই প্রযুক্তির প্রতিনির্ভরতা বাড়ছে। আর যুক্তিহীন বহু প্রযুক্তির ভিড়ে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে যুক্তি-বুদ্ধির রসদ জোগানো বই পড়ার অভ্যাসটি। কারও মনে এমন ভাবনার জন্ম হতে পারে যে, বই পড়াটা আসলে ওল্ড ফ্যাশনের। আজকের সময় ব্যস্তবতার আলোকে এসব চিন্তা-ভাবনা হয়তো সঠিক মনে হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে। তাই বলে এসব অজুহাত দিয়ে বই পড়ব না বা বই পড়ার প্রয়োজন নেইÑ এমন ভাবাও ঠিক নয়। অনেকেই হয়তো যুক্তি দেখিয়ে বলতে পারেন, পড়াশোনায় টিকে থাকার প্রয়োজনে এমনিতেই অনেক অনেক পাঠ্যবই পড়তে হয়, তাতেই আপনার প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার ওপর বাড়তি কোনো পড়ার ঝামেলায় নিজেকে জড়ানো মানেই বাড়তি সমস্যায় পড়া। তবে এসবই কিন্তু যারা বই পড়ে না, তাদের খোঁড়া যুক্তি। নিজের ভালোলাগার একটা ব্যতিক্রমধর্মী জায়গা তৈরি করতে বই পড়া চলতে পারে, আর অন্যসব কিছুর পাশাপাশিই। যেখানে আপনার আর সব বন্ধু-বান্ধবীই মুভি আর গানের ভাবনায় আপনার চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না। সেখানে বই পড়া আপনাকে একটা দিকে হলেও এগিয়ে রাখতে পারে অন্য সবার চেয়ে। বই পড়া শুরু করার জন্য প্রথমেই নিজের রুচির দিকে খেয়াল রেখে বই কিনে তা পড়তে শুরু করুন। একটা গল্প বা উপন্যাস পড়ে আপনার ভালো না লাগা মানেই কিন্তু এই নয় যে, বিশ্বের যাবতীয় বই-ই একই রকম একঘেঁয়ে। কাজেই বই পড়াকে অর্থহীন বলার আগে কয়েক রকম বই পড়ে দেখুন, কোনটি আপনার কতটা ভালো লাগে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে আমরা কত সমস্যার মুখোমুখি হই নিত্যদিন। সেসব সমস্যা মোকাবিলায় নিজের মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার জন্য বই আপনাকে নানাভাবে শক্তি জোগাতে পারে। আত্ম-উন্নয়নমূলক বই পড়ে আপনি নিজের মধ্যে সে শক্তি জাগিয়ে তুলতে পারেন। বিভিন্ন বড় বড় লেখকের গল্প-উপন্যাসের জীবনবোধ সম্পর্কে নিজস্ব চেতনা জাগানোর আলাদা উদ্দীপনা থাকে। যে চেতনায় আপনি হয়ে উঠতে পারেন অন্য একজন মানুষ। অতএব, বিভিন্ন লেখকের গল্প-উপন্যাস পড়ার চেষ্টা করুন। নিজেকে ভিন্ন এক উপলব্ধিতে জাগিয়ে তুলুন। মনে রাখবেন, বই আপনার মুনের আকাশকে অনেক বড় করে তুলতে পারে। আপনাকে সত্যিকার ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে বই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত