প্রায় নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব দুটি। একটি হলো, ঈদুল ফিতর অপরটি স্বভাবতই ঈদুল আজহা। বিশেষভাবে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, দু’টি ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভীষণ চাপ থাকে যানবাহনে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরার তাড়া থাকে। ফলে মানুষজন যানবাহনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যানবাহনের চালকরাও এসময় বাড়তি টাকার নেশায় বেশ তাড়াহুড়া করে যানবাহন চালাতে চেষ্টা করে। অনেক ক্ষেত্রেই যেটা বেপরোয়া পর্যায়ে চলে যায়। যার ফলে প্রায়ই ঘটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। এবারের ঈদের আগে ও পরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সড়কে ঝড়েছে বহুপ্রাণ। তারমধ্যে গত শুক্র ও শনিবার ছিল কাজে ফেরা মানুষের সবচেয়ে বেশি ভিড়। এ দু’দিন সড়ক দুর্ঘটনাও হয়েছে বেশি। পত্রিকার হিসাব মতে, এত’দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে প্রায় ৩২ জনের।
এর মধ্যে আমাদের ত্রিশালে ঘটেছে বিরল এক ঘটনা। এটাকে অলৌকিক বললেও বাড়তি হবে না বোধহয়। এ ঘটনার কথা পরে বলছি। তারআগে সারাদেশের দুর্ঘটনার কথা বলি। পত্রিকার তথ্যমতে, মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্ল্যা এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় দুই শিশু ও এক নারী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মা পারভীন আক্তার (৩৫), ছেলে সুমন (১০), মেয়ে সাদিয়া (৭)। নিহতদের বাড়ি উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল গ্রামে। পারভীন আক্তার উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিলেন। বগুড়ার কাহালুতে প্রাইভেটকার ও পিকআপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জগদল গ্রামের তনছের আলী মাস্টার (৭৫), তার ছেলে ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বী টগর (৩৪), ছেলের বন্ধু ধামইরহাট বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমান বিজয় (৩৫) ও কারচালক নজীপুরের সুমন হোসেন (৩০)। তনছের আলী ধামইরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। জানা যায়, তনছের আলী বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে কেমো থেরাপি দিতে যাওয়ার পথে বগুড়ার কাহালুতে তাকে বহনকারী প্রাইভেট কার ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি প্র্রাণ হারিয়েছেন। পাবনার সাঁথিয়ায় পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের ছোট পাথাইলহাট গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার জালাপুরগ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে জুয়েল (৩০), রবি চানের ছেলে সুরুজ্জামান (৩৯) অপরজন উভয়ের চাচা জুরান মোল্লার ছেলে মতিন (৬০)। নিহতরা একই পরিবারের সদস্য। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার রুস্তমপুর টোল প্লাজা এলাকায় শনিবার বিকালে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, ছাত্রদল নেতা এহিয়া চৌধুরী ওরফে জাবেদ (২৪), তার চাচি বকুল বেগম (৫৫) এবং সিএনজিচালক রব্বান মিয়া (৪০)। তারা গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পথে টোলপ্লাজার কাছে দুর্ঘটনার শিকার হন। বাসচাপায় অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দুই ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে উপজেলার কালুপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি। কাওরান বাজার পান্থপথ মোড়ে শনিবার ভোরে বাসের ধাক্কায় রিকশা আরোহী মো. ইব্রাহিম বিশ্বাস (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ইব্রাহিম বরিশাল উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের কৃষক সান্টু বিশ্বাসের ছেলে। রাজশাহীর মোহনপুরে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য জুয়েল হোসেন (৩১) নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুরকুটি গ্রামের মহিদুর রহমানের ছেলে। দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামের রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে শনিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে শনিবার পৃথক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন। টঙ্গী-কালীগঞ্জ-নরসিংদী সড়কের পূবাইল কলেজ গেট এলাকায় সকালে লেগুনা-ট্রাক সংঘর্ষে একজন এবং পূবাইল শুকুন্দিরবাগ এলাকার বান্দারটেকে দুই অটোরিকশার সংঘর্ষে আরেকজন নিহত হন। তারা হলেন ইব্রাহিম (৩৩) ও মনিরুজ্জামান মনির (৩৩)। দিনাজপুরের খানসামায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত মোটরসাইকেল আরোহী জাকির হোসেন (২৬) উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের তফসের আলীর ছেলে। শনিবার দুপুরে খানসামা ব্র্যাক শাখা অফিসের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় বাসের ধাক্কায় নিহত বংশীবাদক মনির হোসেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। শনিবার ভোরে উপজেলার হরিশ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া দাউদকান্দিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাবেক প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক (৮২) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে গৌরীপুর-হোমনা সড়কের আঙ্গাউড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে দু’জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। শনিবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উজানিসার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সিএনজির চালক চান মিয়া (৫০) ও জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের আব্দু মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৪৫)। নীলফামারীর জলঢাকায় ট্রাকচাপায় নিহত ভ্যানচালক আজিজুল ইসলাম (৪৫) পূর্ব খুটামারা এলাকার মৃত তৈয়বুর রহমানের ছেলে। শনিবার সকালে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের কিসামত বালাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত কৃষক লোকমান হোসেন (৭০) উপজেলার খোসালপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার পিরোজপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বরিশালের গৌরনদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত বৃদ্ধের নাম এসকেন্দার বেপারী (৭৫)। শনিবার সকালে উপজেলার তারাকুপি গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যায়। এর আগে বুধবার উপজেলার কটকস্থল বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় আহত হন তিনি। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে ঈগল পরিবহনের বাস খাদে পড়ে অন্তত ৪০ যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৩ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সকল সড়ক দুর্ঘটনাই মর্মান্তিক। তবে ত্রিশালের সড়ক দুর্ঘটনাটি সকল কিছুকেই যেন ছাড়িয়ে গেছে। এ দুর্ঘটনাটি এজন্যই অন্যরকম কারণ এতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হলেও নিহত নারীর গর্ভের সন্তানটি অক্ষত ও সুস্থ রয়েছে। যেটি একটি বিরল ঘটনা। ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোর্ট ভবন এলাকায় ট্রাকচাপায় এ পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। এ সময় দুর্ঘটনায় পরা অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে নবজাতক। দুর্ঘটনায় শিশুটি সামান্য আঘাত পেলেও আঘাত তেমন গুরুতর নয়। শনিবার দুপুর ২টায় উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের রায়মনি ফকিরবাড়ী গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছয় বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়ে স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য ত্রিশাল পৌর এলাকায় আসেন।
ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), তার স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও মেয়ে সানজিদা আক্তার (৬) নিহত হয়। নিহতদের কারও কারও দেহ এবড়োথেবড়ো এবং নাড়ি-ভূড়ি বেরিয়ে আসে। অলৌকিক ব্যাপার হলো- গর্ভবর্তী মায়ের ভূমিষ্ট শিশুটি বেঁচে গেছে এবং সুস্থ আছে। দুর্ঘটনার সময় অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের পেটে থাকা নবজাতক শিশু ট্রাকের চাকার চাপ খেয়ে পেট থেকে বেরিয়ে আসে। নবজাতকটিকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালের শিশু ওয়াডের ডাক্তার আরিফ আল নূর জানান, শিশুটির হাতে আঘাত থাকলেও শঙ্কামুক্ত। এদিকে রায়মনি ফকিরবাড়ী গ্রামে তিনজনের লাশ পৌঁছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। একটি দুর্ঘটনায় সাজানো একটি সংসার শেষ হয়ে গেল। সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল সব স্বপ্ন। ছয় বছরের শিশু সানজিদার লাশ ঘিরে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় কেউ চোখের পানি আটকাতে পারেনি। নিহত জাহাঙ্গীর-রত্না দম্পতির তিন সন্তান। বাড়িতে রয়েছে বড় মেয়ে জান্নাত। তার বয়স ১১। আর ছেলে এবাদতের বয়স আট বছর। এখন বাবা-মাকে হারিয়ে কীভাবে তারা মানুষ হবে, সেই চিন্তা।
এই যে সড়ক দুর্ঘটনাগুলো হয়, এর পেছনে অনেক কারণ থাকে। থাকতে পারে। অনেকেই অনেক কারণ ও যুক্তি তুলে ধরবেন। তবে আমি সেদিকে যাচ্ছি না। আমি মাত্র তিনটি কারণ তুলে ধরতে চাই। যেহেতু আমার বাড়ি ত্রিশালে। দুর্ঘটনার জায়গাটি আমি দেখেছি। যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে কোনো ফুট ওভারব্রিজ ছিল না। অথচ জায়গাটি ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রায় সামনেই অবস্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফুট ওভারব্রিজ অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। হয়তো বা এখানে বা এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ থাকলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটত না। বা ঘটবে না। দ্বিতীয়ত, এই যে হাজার হাজার যানবাহন চালক। আমার মনে হয়, এদের অর্ধেকেরও বেশির লাইসেন্স নেই। থাকবে কী করে, এরা আসলে প্রকৃত চালকই নয়। হয়তো দেখা গেল, কয়েকদিনের প্রশিক্ষণ শেষে প্রকৃত চালক তার পাশে বসে রইল এর হেলপার বসে গেল চালকের আসনে, এরা যানবাহন চালনার কৌশল ভালো করে করায়ত্ত্ব না করতে পারায় প্রায়শই ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা। আবার এমনও হয়, চালকের ক্লান্তি বা অসুস্থতার সুযোগে চালকের অনুপস্থিতে হেলপারই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় ওঠে গেল। অনেক সময় দেখা যায়, বিশেষ করে ট্রাক চালনার ক্ষেতে, অপ্রাপ্ত বয়স্করা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এরাই ঘটায় মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। আর এদের লাইসেন্স থাকারও কথা না। তৃতীয়ত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস সেটা হলো, জনগণের তাড়াহুড়ার প্রবণতা বা বিবেকবিবর্জিত কাজ। ত্রিশালে এই যে দুর্ঘটনাটি হলো। এটা দিয়েই উদাহরণ দিই। হয়তো ১০০ গজ দূরেই ত্রিশালের মোড়। এই মোড়েই; কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ ছিল। ভদ্রলোক ইচ্ছে করলেই একটু কষ্ট করে সামান্য হেঁটে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তাপার হতে পারতেন। সেটা না করে একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং মাত্র ছয় বছর বয়স্ক একজন মেয়েকে নিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা পার হতে চাইলেন। সময় বাঁচাতে চাইলেন। যার ফলস্বরূপ ঘটে গেল সংসার এলোমেলো করে দিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাটি। বিবেকবুদ্ধি খাটিয়ে পথচারিরা চললে বা চালক গাড়ি চালালে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি- এটা মাথায় রাখলে অনেক দুর্ঘটনা রক্ষা পাওয়া যায়। অনেকে বলে থাকেন, ‘হোয়াট ইজ লটেট কেন নট বি ব্লটেট’ অর্থাৎ কপালের লিখন না যায় খণ্ডন। আমি বলব, এ কথাটি বিশ্বাসের পাশাপাশি আপনার মনে রাখা উচিত, সৃষ্টি বলেছেন, ‘বান্দা তুমি সাবধান হও’ এ কথাটিও মনে রাখা।