ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভূরাজনীতি ও অর্থনীতির কূটনীতি

ফনিন্দ্র সরকার, কলাম লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক, phani.sarker@gmail.com
ভূরাজনীতি ও অর্থনীতির কূটনীতি

ভূরাজনীতি বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। এ শব্দটির প্রবর্তক হচ্ছে সুইডেনের Goleborg বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Rodilf Kjellen। আধুনিক বিজ্ঞান সভ্যতার এই যুগে ভূরাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গুরুত্ব বিবেচনায় এর ধরনও পাল্টে গেছে। ভূরাজনীতির ইংরেজী শব্দ হচ্ছে- Geo Politikos- Geo অর্থ ভূ আর Politikos হচ্ছে রাষ্ট্র সম্পর্কিত। ভূগোল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরস্পরকে সম্পর্কযুক্ত করে রাজনৈতিক শক্তি এবং ভৌগলিক কিছু উপাদানের সমন্বিত কৌশলই ভূরাজনীতির মূল কথা। কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সমস্যাবলির সমাধানের চেষ্টায় রাজনৈতিক ভূগোলের সফল প্রয়োগকেই ভূরাজনীতি হিসেবে গণ্য করা হয়। ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিষয়ক কৌশলগত নীতি প্রণয়ন হচ্ছে ভূরাজনীতি। ভূরাজনীতির বিভিন্ন রকমের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। তাদের প্রণীত সংজ্ঞা অনুযায়ী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ভূরাজনীতিকে একেক দেশ একেকভাবে গতিশীল করছে। ভূরাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভূরাজনৈতিক কৌশলের ওপরই কোনো দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে উঠে। ভূরাজনীতির যেসব উপাদান রয়েছে- তার যথার্থ ব্যবহারে ও সংরক্ষণে ব্যর্থ হলেই সর্বনাশ। এ উপাদানগুলো হচ্ছে পররাষ্ট্র সম্পর্ক, সমাজের অবস্থান, সম্পদের অবস্থান, জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদ, ধর্মের ব্যবহারিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ এবং রাষ্ট্রের জনগণ। পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো রাষ্ট্রের ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে, সে দেশের ভূরাজনীতি। সুতরাং রাষ্ট্রের অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আজ গোটা বিশ্বের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোকপাত করতে চাই না। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ভূরাজনীতি, কৌশল ও অর্থনীতির কূটনীতি প্রসঙ্গে সংক্ষেপে কিছু তুলে ধরতে চাই। সম্প্রতি উল্লেখিত দেশগুলো নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। টেলিভিশনের টকশোতে গণমাধ্যমের খবরে দেশগুলোর কোনো না কোনো বিষয় শিরোনাম হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ইস্যুতে চীন-ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ভূরাজনীতির আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মিয়ানমারের প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আশ্রয়লাভ করেছে। তাদের সসম্মানে ফেরৎ পাঠাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখলেও সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে এখন বিপদে পড়েছে। রোহিঙ্গারা বর্তমানে গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এ কাঁটা অপসারণে প্রাণান্তকর চেষ্টার মধ্যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সীমান্তে যে তাণ্ডব নৃত্য করছে, তাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ঢাকা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা বুঝে শুনেই যেন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তিন টার্ম ক্ষমতার অনুশীলন করে তৃতীয় মেয়াদের শেষ বর্ষে অবস্থান করছে। আর মাত্র ১ বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩-এর নভেম্বর থেকে ২০২৪-এর জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সংবিধান অনুযায়ী। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতির মাঠ এখন উত্তপ্ত। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এখন পর্যন্ত অনঢ় রয়েছে। দাবি মানা না হলে সরকারপতন তথা গণঅভুত্থানের হুমকি দিয়ে রাজপথে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কিন্তু সরকারি দল আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, হবে না বলে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মহলও নড়েচড়ে বসেছে। সবাই বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হোক, এটাও সবাই চায়। এদিকে বিশ্ব অর্থনীতি ভয়ানক ভয়ানক পরিস্থিতির কবলে পড়েছে। আসছে বছর নাকি ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জ্বিত হবে গোটা বিশ্ব। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে ফিরে এসেই এ বার্তাটি জনগণকে দিয়েছেন। তিনি সবাইকে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কোভিড-১৯ কালীন অর্থনীতির চাকা সচল রেখে বাংলাদেশ একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু আসন্ন সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা অজানা। এর মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সবাইকেই ভাবিয়ে তুলছে। শ্রীলঙ্কার উদাহরণ অনেকেই টানছেন। অর্থনীতি সচল রাখার ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কায় সরকারের পতন হয়েছে। পাকিস্তানেও ইমরান খানের পতন হয়েছে। মিয়ানমার সামরিক সরকারও নানাভাবে বাংলাদেশকে ডিস্টার্ব করছে। সরকারের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আই এম এফ-এর দ্বারস্থও হয়েছে। অন্যদিকে চীন ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্য নীতি অবলম্বন করতে হচ্ছে। প্রতিবেশী দুটো বৃহৎ শক্তিধর দেশের সঙ্গে কৌশলগত সুবিধার কথা মাথায় রেখে এগুতো হচ্ছে। কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পার্টনার দেশ হচ্ছে ভারত। সংগত কারণেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। অন্যদিকে চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু দেশ। যদিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী চীন পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পাকিস্তান-ভারত পরস্পর বৈরী রাষ্ট্র। কূটনৈতিক সম্পর্ক সমৃদ্ধকরণে বর্তমানে অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সে মোতাবেক চীন ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মন-মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেছে। ভারতের তুলনায় চীনের ঋণ পরিমাণ অনেক বেশি। আর তাই কেউ কেউ বলছেন বা বলার চেষ্টা করছেন, চীনা ঋণের ফাঁদে বাংলাদেশ। আগ বাড়িয়ে এত বেশি ঋণ দানকে ফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত করলেও চীনা রাষ্ট্রদূত এ কথাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্বে ধনী দেশের শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছে চীন। আধুনিক প্রযুক্তির বলে ইলেকট্রনিক পণ্য সারা পৃথিবীতে জায়গা করে নিয়েছে। চীনের তৈরি পণ্য নিম্নমানের হলেও চাহিদার জায়গায় শক্তিশালী অবস্থানের কারণে অর্থনীতি শক্তি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ভারত একটি সৃজনমুখী মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে মর্যাদার আসনে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে আসছে। ভারতে বৃহৎ বাণিজ্যিক পার্টনারও। বাংলাদেশ জিও পলিটিক্সেও ভারত-বাংলাদেশের ভাতৃপ্রতীম দেশের ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় কিছু আমলা ও আওয়ামী লীগের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা চীনের প্রভাব বলয় বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। যা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

উল্লেখ্য যে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। বর্তমানে সবক্ষেত্রে নতুন সামঞ্জস্য বিধানে দুটো দেশই একমত হয়েছে আধুনিক পরিবেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে। অবস্থা বদলায়, কিন্তু দরকার হয় পুরোনো সত্যের নতুনভাবে পুনরোপলব্ধির। ঠিকঠাক থাকবে কি-না, সেটি ভাবতে হবে। সমকালীন বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত যদি এক ও অভিন্ন দৃষ্টিতে এগুতো না পারে, তবে সংকট অনিবার্য। আজকাল আমরা কতই না শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকি রাজপুত বীরদের, যারা বিদেশি আগ্রাসনকারীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজেদের জীবন আহুতি দিয়েছেন। সম্মান ও মর্যাদার আসনে তাদের আমরা বসিয়েছি। মর্যাদাশীল চিন্তাই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেবে আমাদের। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ দিনে দিনে বাড়ছে। যেসব খাতে বিনিয়োগ হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প, জুয়েলারি, কেমিক্যাল, ওষুধ, পাওয়ার, এগ্রোবেইজড ইন্ডাস্ট্রিজ, মেশিনারি, আইটি খাত, দক্ষতা উন্নয়ন এছাড়াও রেল পথ নির্মাণ, বন্দর উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, কিছু কিছু বড় প্রকল্পে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে যান। এ রকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। সেখানে চায়না প্রতিষ্ঠানগুলো এক রহস্যজনকভাবে কাজ পেয়ে যায়। বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নানা অযুহাতে ভারতীয় কোম্পানীকে নিরুৎসাহিত করা হয়। বন্ধুপ্রতীম দেশ হওয়া সত্ত্বেও এরকম ঘটনার পেছনে ঘোর ভারতবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গিই বিকশিত হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে একটা নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে। আমাদের জনগণকে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে চিন্তা করতে হবে।

চীন থেকে উচ্চ সুদে ঋণগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই ঋণ শোধ করতে হবে সুদসহ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সেক্টর প্রায় পুরোই চীনের দখলে। আবার বছর দেড়েক আগে পানিসম্পদ রক্ষার অজুহাতে চীন থেকে উচ্চমূল্যে দুটো ডুবো জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে। এই ক্রয়কে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে একটা ক্ষীণ তিক্ততার পরিবেশ তৈরি হলেও এখন তা কেটে গেছে। এটা ঠিক যে, বর্তমান কূটনৈতিক অর্থনীতির যুগে টাকা রোজগারের একটা প্রতিযোগিতা থাকবেই। বিশ্ব কূটনীতি এখন জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে দৃষ্টি নিবন্ধন করেছে। ভূরাজনীতিও সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। দেশের রাজনীতিবিদের সে দিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে মানের রাজনীতিক তৈরি হচ্ছে, এই মানের রাজনীতিকরা ভূরাজনীতি কতটা আত্মস্থ করতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রাজনীতির রসায়ন না বুঝলে পস্তাতে হবে। স্বভাবত : কারণে একটি কথা প্রচলিত যে, ছোট দেশগুলোতে প্রতিবেশী বড় দেশের প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানে চীন-ভারত-পাকিস্তান এর ত্রিমুখী প্রভাব প্রতিযোগিতা বিদ্যমান থাকে সবসময়। সেক্ষেত্রে ছোট দেশগুলোকে অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করে প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে। দেশ ছোট হলেও অর্থনীতিতে বলীয়ান থাকলে কারও পক্ষে খবরদারি করা সম্ভব নয়। আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ কোনোসময় অর্থনীতিকে এগুতো দেয় না, পাশাপাশি বৈদেশিক শক্তির খবরদারি বৃদ্ধি পায়। এতে, আত্মমর্যাদায় আঘাত আসে। রাজনৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক বিকাশ জরুরি। ভারতে যেটা দেখতে পাচ্ছি। সেটি হলো ভারতের জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে সামরিক আইনের নজির নেই, জাতির পিতা নিয়েও কোনো বিতর্ক নেই।

এ অভিনবত্ব থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতি ভক্তি ও জ্ঞান ভারতের অভিনব সামাজিক অবদান। সে জন্যই ভূরাজনীতিতে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। ভারতে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই জাতীয় ঐক্যের একটা নীতি আছে। আমাদেরও জাতীয় ঐক্যের নীতি ঠিক করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত