চি ঠি প ত্র
সাংবাদিকতায় ধান্দাবাজদের ঠাঁই দেওয়া যাবে না
পলাশ কুণ্ডু
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আমরা জেনে এসেছি যারা লেখক-সাংবাদিক-শিল্পী তারা মুক্তমনা-সুচেতা ও নিঃস্বার্থ প্রকৃতির। লেখক ও সাংবাদিকের মধ্যে সাদৃশ্য মিল হলো, সাংবাদিক যেমন গণমাধ্যমে লিখতে ও বলতে পারে, তেমনি লেখকও তার মতপ্রকাশের জন্য পরামর্শ-মতামত-চিঠিপত্র লিখতে পারে। ইদানিং পত্রিকার পাতায় চোখ মেললেই ভেসে ওঠে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, সাংবাদিকতার নামে অপ-সাংবাদিকতা, সাংবাদিকতার নামে হেনস্তা এবং সাংবাদিকতার নামে অসভ্যতা ইত্যাদি সাংঘাতিক নিউজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ম্যাগাজিন, ব্লগ ইত্যাদি প্লাটফর্মে প্রদর্শিত সংবাদগুলো সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত কিছুসংখ্যক সাংবাদিক ‘প্রেস’ লেখা বাইক নিয়ে টিকটিকির মতো এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করে এবং ধানাই-পানাই কথা বলে মানুষকে মুরগি বানিয়ে টাকা খসানোর চেষ্টা করেছে। যখন টাকা পায় না তখন একটি মানুষের দুর্বলদিকগুলো বুঝে নিয়ে তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও হেনস্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যত হওয়া সাংবাদিকের রূপ হয়ে ওঠে বিষধর সাপের মতো।
শোনা যায়, সাংবাদিকদের সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত থাকা সদস্যদের মধ্যে অসাধু গুটিকয়েক সাংবাদিক একত্রে মিলিত হয়ে ধান্দাবাজির ফন্দিআঁটে। জনগণ প্রত্যাশা করে ভুয়া-হলুদণ্ডধান্দাবাজ-চাঁদাবাজ-বেপরোয়া সাংবাদিকদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং সাংবাদিকতা পেশায় যোগ্যব্যক্তিকে নিয়োগ দেবে। অসাধু সাংবাদিকদের কারণে মহৎ পেশায় দাগ লাগবে- এমনটা আমাদের কারও কাম্য নয়।
শিক্ষার্থী: এলএলবি শেষপর্ব, রংপুর আইন কলেজ
