শিশুদের মায়োপিয়া : নীরব স্বাস্থ্যঝুঁকি এখনই জাতীয় পদক্ষেপ জরুরি

মো: শামীম মিয়া

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

মানবজীবনে চোখ শুধু একটি অঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়- এটি জ্ঞানের দরজা, আবির্ভাবের মাধ্যম, সামাজিক সংযোগের সেতু। অথচ, বিশ্বের এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া (নিকটদৃষ্টিবাদ) এখন একটি নীরব স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে ক্রমবর্ধমান হচ্ছে। এটি শুধু একটি চশমার সমস্যা নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাজীবন, মানসিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মজীবনে বড় ধরনের জটিলতা ডেকে আনছে। এ সংকট নিরসনে এখনই জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা, কৌশল ও সম্পৃক্ত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

মায়োপিয়া : বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিত ও প্রবণতা, আন্তর্জাতিক অবস্থা : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মতে, বর্তমানে কয়েকশ’ কোটি মানুষ মায়োপিয়ার সমস্যায় ভুগছে, এবং বিশ্বে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা মায়োপিয়ার ঝুঁকিতে থাকবে, যদি সময়মতো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া না হয়। এ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলো- যেমন চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরে বেশি তীব্র।

এর কারণগুলো : আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার (স্ক্রিন টাইম), গৃহকেন্দ্রিক জীবনধারা, কম প্রাকৃতিক আলো, খেলার সময়ের অনুপস্থিতি ইত্যাদি এই বিস্তারকে ত্বরান্বিত করছে।

পতিবদ্ধতা : অত্যাধিক দূরে স্পষ্ট দেখতে না পারা, দৃষ্টিসীমায় কনট্রোল হারানো, চোখে চাপ, দ্রুত ক্লান্তি- এসব লক্ষণ দ্রুত ধরা না পড়লে পড়াশোনা, আত্মবিশ্বাস, মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশে মায়োপিয়ার বাস্তব চিত্র : চূড়ান্ত পরিস্থিতি: বাংলাদেশে নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, শহরাঞ্চলের- ক্রমেই গ্রামীণ এলাকায়- বিদ্যালয়বয়সী শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। স্মার্টফোন, ট্যাব, অনলাইন ক্লাস, গেমস- এই প্রযুক্তির অবাধ প্রবেশাধিকার গ্রামীণ শিশুরাও এখন একই ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রবণতা ও কারণ : আগে ধারণা ছিল গ্রামীণ শিশুরা বাইরে বেশি সময় কাটায়, তাই ঝুঁকি কম ছিল। কিন্তু আজকের দিনেও, ক্ষুদ্র খেলার মাঠ, পরীক্ষার চাপ, ঘরে অতিরিক্ত সময় প্রযুক্তির সামনে- এসব কারণে গ্রামীণ শিশুরাও শহরাঞ্চলের সমপর্যায়ে ঝুঁকিতে।

পর্যালোচনীয় প্রস্তাবনা : শিশুদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা শুরু করা, সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা, এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে স্বাস্থ্যকর নিয়ম প্রণয়ন- এসব পদক্ষেপ এখন অপরিহার্য।

ঝুঁকের প্রধান কারণগুলো বিশ্লেষণ : স্ক্রিন টাইমের অতিরিক্ত ব্যবহার: মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার, টেলিভিশনে দীর্ঘ সময় চোখ রাখলে চোখে চাপ, আস্তে আস্তে দৃষ্টিসীমা সংকীর্ণ হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক আলো থেকে বঞ্চিত জীবনধারা : গবেষণায় দেখা গেছে যে, দিনে ২ ঘণ্টা প্রাকৃতিক আলোতে খেলাধুলা করলে মায়োপিয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। কিন্তু শহরাঞ্চলে গৃহকেন্দ্রিক জীবনধারা, খেলাধুলার তাদরিকার অভাব এই সুবিধা থেকে শিশুদের বঞ্চিত করছে। পাঠ্যচাপ ও পড়াশোনার অভ্যাস: দীর্ঘ সময় ধরে কাছাকাছি পড়ার কাজ (বই, নোট, হোমওয়ার্ক) শিশুদের চোখের উপর অপরিমেয় চাপ সৃষ্টি করে।

জিনগত প্রবণতা: বাবা-মায়ের কেউ মায়োপিয়ার রোগে ভোগে, তাহলে সন্তানের ঝুঁকিও বেড়ে যায়- জিনগত পরিপ্রেক্ষিত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

অসচেতনতা ও দেরি : শিশুরা যদি বারবার চোখ ছোট করে বোর্ডের লেখা পড়ে, বা দূরের বিষয় বুঝতে অসুবিধা করে, তখনই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে বিষয়টি দেরিতে ধরা পড়ে, যা চরম জটিলতা ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

শিশুদের ভবিষ্যৎ-দৃষ্টিশক্তি এবং বিকাশের উপর প্রভাব : চিকিৎসাগত জটিলতার ঝুঁকি, মায়োপিয়া শুধুমাত্র দূরবর্তী বস্তু ঝাপসা দেখা নয়; চিকিৎসা না করলে এটি গ্লুকোমা, ক্যাটারাক্ট, রেটিনা বিচ্ছিন্নতার মতো গুরুতর জটিলতা ডেকে আনতে পারে।

শিক্ষা ও ব্যক্তিগত বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত : স্পষ্ট দেখতে না পারায় শিশুরা স্কুলে মনোযোগ হারাতে পারে, পড়াশোনায় অনীহা তৈরি হতে পারে, আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে, যা মানসিক বিকাশ ও ভবিষ্যত কর্মের ক্ষেত্রে বাধাবিঘ্ন ঘটায়। দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব: প্রতিটি শিশুর দৃষ্টিশক্তি সুস্থ এবং পূর্ণ থাকলে সে নিজের ভালো ভবিষ্যৎ ও দেশের অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে শিক্ষাগত মান, ক্যারিয়ার অর্জন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি- সব ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক ও উন্নত দেশের সফল উদ্যোগ- বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ : বিদ্যালয়ে চোখের নিয়মিত পরীক্ষা ও দৃষ্টিবিদ্যা সচেতনতা চালু রাখা, স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণকারী নীতিমালা, বাইরে খেলার সময় নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।

চীনের বাস্তব কৌশল : ‘চোখ রক্ষা নীতিমালা’ প্রণয়ন করে বিদ্যালয়-পর্যায়ে উচ্চ চাপের পড়াশোনা ও স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘমেয়াদি গবেষণাভিত্তিক সেন্সর এবং ভিজ্যুয়াল থেরাপি প্রোগ্রাম চালানো।

সিঙ্গাপুর: শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ইন্টিগ্রেশন : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ পরিকল্পনায় প্রতিটি ক্লাসে চোখের বিরতি এবং স্ক্রিন ব্রেক ব্যবস্থা, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুদের জন্য ভিজ্যুয়াল ক্লিনিক চালু করা, সামাজিক মিডিয়ায় সচেতনতা প্রচারণা পরিচালনা।

বাংলাদেশের সমস্যা এবং প্রতিবন্ধকতা : রাজনৈতিক ও নীতি-গত আংশিকতা: দেশে এখনও ‘শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য’ নিয়ে একটি সুসংগত, সম্মিলিত জাতীয় কৌশল নেই। প্রতিবেদন, তথ্যভাণ্ডার, গবেষণা- এসব কাঠামো অপর্যাপ্ত বা দুর্বল।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের বিচ্ছিন্নতা : স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসন একত্রে কাজ না করায় পরিকল্পনা কার্যকর করা কঠিন। অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ: গ্রামীণ এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য মানসম্মত চশমা পৌঁছাতে ভর্তুকির অভাব, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুর্বল অবকাঠামো, জনস্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাব একটি বড় বাধা। সচেতনতা ও সামাজিক ধ্যান-ধারণা : অনেক অভিভাবক, শিক্ষক এবং সামাজিক কর্মীরা এখনো চোখের যত্নের গুরুত্বকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন না- এতে সমস্যা অনেক সময় লুকিয়ে থাকে বা সময় মতো প্রকাশ পায় না।

জাতীয় করণীয় সকল স্তরে জরুরি পদক্ষেপ : আমাদের লক্ষ্য: একটি সুসংগত, বহুমাত্রিক জাতীয় কৌশল তৈরি করা যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার এবং সমাজ-সম্পৃক্ততা একসঙ্গে নিশ্চিত করবে। নীতি ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠন : জাতীয় ভিশন দৃষ্টিশক্তি (National Vision 2041, for example): যেখানে ‘শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য’ একটি অঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মায়োপিয়া প্রতিরোধ ফোরাম: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা, প্রযুক্তি, নাগরিক সমাজ- সব অংশ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কর্পোরেট টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। বছরিক দৃষ্টিশক্তি হাটহাটানি প্রতিবেদন: Eye Health Impact Report - যেটি সরকার, শিক্ষা বোর্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে প্রকাশ করবে।

স্কুলভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরীক্ষা : নিয়মিত চোখের পরীক্ষা : প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উপজেলা, জেলা ও নাগরিক বিদ্যালয়গুলোতে বছরে অন্তত একবার নিখুঁত চোখের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। চক্ষু স্বাস্থ্য কর্মী প্রশিক্ষণ: টিচার, স্বাস্থ্য কর্মী এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মৌলিক চোখের সমস্যা শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ। স্কুলে প্রাকৃতিক আলো এবং বাইরের খেলার সময় নিশ্চিতকরণ : পাঠ সপ্তাহে অন্তত ২ ঘণ্টা বাইরের খেলার-শারীরিক কার্যক্রম রাখা। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও পণ্য সহায়তা : চশমায় ভর্তুকি : দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য শিশুদের চোখের চশমা ভর্তুকি নিশ্চিত করতে- সরকার, এনজিও এবং স্থানীয় ডেপুটি কমিউনিটি সংগঠনের মাধ্যমে। ত্রি-পক্ষীয় অংশীদারিত্ব: সরকার- চশমা প্রস্তুতকারী- স্বাস্থ্যবাক স্বাস্থ্যকর্তা মেলা আয়োজন করে বিলাস মুল্যের বদলে উৎকৃষ্ট মানের চশমা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা।

সচেতনতা ও সামাজিক প্রচারণা সার্বজনীন প্রচারণা : রেডিও, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা মূলক ভিডিও, পোস্টার, সংবাদ প্রকাশ; যাতে অভিভাবক ও শিক্ষক বুঝতে পারেন চোখের উপেক্ষিত ঝুঁকি।

গ্রামীণ ও অগ্রাজ্য জনগোষ্ঠীর জন্য ভিন্ন কৌশল: ভাষা ও সংস্কৃতি-সংবেদনশীল মিডিয়া, স্থানীয় প্রতিনিধি, গ্রামাস্তরে শিশুদের চোখের ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে সচেতনতা। স্কুল-ভিত্তিক ওয়ার্কশপ: অভিভাবক-শিক্ষক- এছাড়াও শিশুদের নিজস্ব বোঝার জন্য চোখের যত্ন, স্ক্রিন বিরাম, খেলার গুরুত্ব ইত্যাদি নিয়ে কর্মসূচি।

গবেষণা ও তথ্যভাণ্ডার : জাতীয় চক্ষুরোগ নিবন্ধন: Eye Disease Registry যেখানে মায়োপিয়া এবং অন্যান্য চক্ষুর রোগসমূহের তথ্য থাকবে।

তথ্যভিত্তিক গবেষণা: সমাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি- এই প্রেক্ষাপটে দেশের শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণা জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রকল্প অনুমোদন। আন্তর্জাতিক জ্ঞান বিনিময়: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), আইএপেডস (International Agency for the Prevention of Blindness) ইত্যাদি সংস্থার সঙ্গে গবেষণা ও কার্যক্রম নিয়ে সহযোগিতা।

বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান : চ্যালেঞ্জসম্ভবত সমাধান তহবিলের সীমাবদ্ধতা আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, কর্পোরেট সামাজিক দানের মাধ্যমে তহবিল বৃদ্ধি আন্তঃসংগঠন সমন্বয়হীনতাকেন্দ্র- জেলা-উপজেলা স্তরে সমন্বয় কমিটি গঠন জনসচেতনতা কম বুদ্ধিজীবী, স্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগে আনয়ন অবকাঠামো-অনুপস্থিতি মোবাইল চক্ষু স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্থায়ী অপটিক্যাল ফ্যাকিলিটি নির্মাণ প্রযুক্তিগত পর্যালোচনায় দুর্বলতাটেল-চিকিৎসা (tele-ophthalmology) প্রবর্তন, ডেটাচালিত নিরীক্ষা আজকের শিশুর চোখ- আগামী দিনের জাতির ভবিষ্যৎ। মাস্টারপ্ল্যান, শাসন কাঠামো, সচেতনতা ও প্রযুক্তিগত সমর্থন- এ সবকে একসাথে অর্জন করতে পারলে আমরা নিশ্চিত করতে পারব, বাংলাদেশের প্রত্যেক শিশুর দৃষ্টি- দূরের বিশ্ব গ্রহণে সক্ষম, বিকাশমুখী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। যদি আজ আমরা পদক্ষেপ না নেই, তবে ‘দূরের বিশ্ব’ তাদের কাছে ঝাপসা থেকেই যাবে- এটাই হবে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। তাই এখনই, স্কুল, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সবার সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন। কারণ চোখের স্বাস্থ্য শুধু চিকিৎসা নয়; এটি একটি মৌলিক অধিকার এবং জাতির গৌরবের একটি অংশ।

লেখক : কলামিস্ট, আমদিরপাড়া জুমারবাড়ী, সাঘাটা, গাইবান্ধা। ও শিক্ষার্থী, ফুলছড়ি সরকারি কলেজ

Email: [email protected]