নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা

মোস্তফা কামাল

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচন, ভোট, ভোটারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা অত্যন্ত গভীর মনোযোগ এদিকে। সেই প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারেরও বেশি সদস্যকে। থাকবে র‍্যাব বিজিবি ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও।

এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রয়োজন ও আবশ্যকতা দৃষ্টেই আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সরকারের এমন প্রস্তুতি। সেই সঙ্গে জন-আকাঙ্ক্ষার বিষয়ও রয়েছে। গেল আন্দোলনের ঝর্ঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সন্ধিক্ষণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা মানুষকে শুধু স্বস্তি দেয়নি, আগামী নির্বাচনে বাহিনীটির যথাযথ ভূমিকার আশাও জাগিয়েছে। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের অভিপ্রায় সেই আশাবাদে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। কোনো ব্যত্যয় না ঘটলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নেবে অন্তর্বর্তী সরকার-এই অপেক্ষায় নির্বাচনমুখী দল ও ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী মানুষ।

৮ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বর্ষপূর্তিতে পরিষ্কার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মালয়েশিয়া সফরকালে আরও খোলাসা করে বলেছেন, ‘আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি, যাতে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।’ কথার মাঝে আর কোনো ফাঁক বা ‘তবে-কিন্তু-যদি’র ব্যবহার করেননি তিনি। নির্বাচনকে ঐতিহাসিক, প্রশ্নমুক্ত, অবাধ, সুষ্ঠু করতে গেলে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। আর আইনশৃঙ্খলার প্রতীক বলতে মানুষের সবার আগে চোখ যায় পুলিশের দিকে। পুলিশ কোন দশায় আছে তা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই। সেখানে বিশেষ ভরসা সশস্ত্র বাহিনী। তারা ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে আছে বলেই জননিরাপত্তা আজকের অবস্থায় রয়েছে। না হয় পরিস্থিতি কোথায় গড়াতো, তা ভাবনায় অস্থির। আশা করা যায়, আসন্ন নির্বাচনের সময়ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়েই তারা মাঠে থাকবে, যা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কোরামিন হয়ে কাজে দেবে।