এইচএসসি পরীক্ষায় ফল অর্জনকারীদের অনুসরণীয় ও বর্জনীয়

ড. মো. আনোয়ার হোসেন

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

এইচএসসি, আলিম ও অনুরূপ পরীক্ষায় যারা উত্তম ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের সবাইকে অকৃত্রিম অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা! চমৎকার ফলাফল করেছেন! স্বীয় আয়াসকে উদযাপন করুন এবং ভাবী সুযোগে অধিকতর বড় স্বপ্নলোকে এগিয়ে যান। তবে যারা কাম্য ফল পাননি, আশাহীন না হয়ে জীবনের পরবর্তী ধাপে সাফল্যের জন্য এই মুহূর্ত হতে কাজ শুরু করতে হবে। উত্তীর্ণ-অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী জীবনের নবদিগন্তের সূচনা হোক এবং সাফল্যমণ্ডিত হোক, এই কামনা করছি। ১৬ অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অবতীর্ণ হয়েছেন।

পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭৩৬০২৮ জন। মোট অকৃতকার্য হয়েছেন ৫১৫০৮৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯,০৯৭ জন। সার্বিক পলাফলে নারী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।

এটি শুধু একটি পর্ব, সামনে আরও নানা সুযোগ প্রতীক্ষা করছে। ‘মনে রাখতে হবে, ভূবনে কোনো অর্জনে বা অসফলতায় অতি আবেগপ্রবণ হওয়া সমীচীন হবে না। বরং প্রভুর নিকট বাধিত হয়ে সেজদায় মস্তক অবনত করতে হবে এবং বড় বিজয়ের দিকে দৃষ্টি স্থির রাখতে হবে।

প্রিয় ২০২৫ সালের এইচএসসি, আলিম ও অনুরূপ পরীক্ষায় অনত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বলছি- আপনি একা অসফল নয়, অনুরূপ প্রায় ৫১৫০৮৩ জন শিক্ষার্থী এই যাত্রায় অকৃতকার্য হয়েছেন। এ অকৃতকার্যদের মধ্যেকার অনেকেই হয়তো আগামীদিনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন । তবে হতে হবে অধ্যবসায়ী। যেমন ধরুন, আব্রাহাম লিঙ্কন- জীবনে অনেকবার পরাজিত হওয়ার পরও তিনি অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এপিজে আবদুল কালাম প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি ভারতের বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। শ্রীনিবাস রামানুজন- তিনি গভীর অধ্যবসায় ও সাধনার মাধ্যমে গণিতে অসাধারণ অবদান রাখেন। জগদীশচন্দ্র বসু ও প্রফুল্ল চন্দ্র রায়- তাদের মতো বিজ্ঞানীরাও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেদের জীবনে সাফল্য এনেছেন। তবে একজন ছাত্র বারবার চেষ্টা করে পরীক্ষায় ভালো ফল কেন করতে পারবেন না?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ভর্তি পরীক্ষায় কিছুটা এগিয়ে রাখলেও বাস্তবে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে জিপিএ-৫ না পেয়েও পরবর্তীতে উচ্চমানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন অনেকেই। তাই পরবর্তী ধাপে সফলতার জন্য স্বপ্ন, সাহস, বিশ্বাস, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমই মুখ্য।

প্রকৃতপক্ষে ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও প্রযুক্তিগত সহ মানবীয় যেকোনো ভুলে ফলাফল বিপর্যয় হতে পারে, যাহা আকাশ থেকে পরার মত কিছু নয়, কারণ ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ রয়েছে। ‘যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা জীবনের নতুন এক যাত্রা শুরু করলেন। দৃপ্ত শপথ আর দৃঢ় মনোবলকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের এখন উচ্চশিক্ষার জীবনে পা রাখতে হবে, যেতে হবে বহুদূরের পথ। এই পথচলায় ঝড়ঝঞ্ঝা আসবে, অন্ধকার এসে আলোকে ঢেকে দিতে চাইবে; কিন্তু এই নবীনদের থমকে গেলে চলবে না। তাদের মনে রাখতে হবে, তারাই আগামীদিনে সোনার বাংলাকে নেতৃত্ব দেবে। আগামী দিনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংলগ্নে থাকা শিক্ষার্থীদের আমার কিছু সদুপদেশ নিম্নে যোগ করা হলো-

১. ছাত্রছাত্রীদের উচিত শিক্ষকদের অধিক সম্মান করা, কারণ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, চরিত্র এবং মূল্যবোধ তৈরিতে সাহায্য করেন, যা তাদের সারাজীবনে প্রভাব ফেলে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন, তাদের সম্মান করা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। শিক্ষকদের প্রতি সম্মান দেখালে ছাত্র এবং শিক্ষক উভয়ের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা শেখার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে। শ্রেণিকক্ষে একটি ইতিবাচক এবং সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখা উচিত। শিক্ষকদের প্রতি ধৈর্য এবং সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত, কারণ তাদের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ এবং সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।

২. কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিনিয়রদের প্ররোচণায় অনেক নবীন শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।

ক্যাম্পাসেই মিলছে মাদক। একের পর এক মাদকের সঙ্গে যুক্ত হতে হতে মাদকাসক্ত হয়ে কেউ কেউ হয়ে যায় মানসিক ভারসাম্যহীন। পড়াশোনার সঙ্গে বিচ্ছেদও ঘটে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কৌশলে কোকেন, গাঁজা, মদ, মারিজুয়ানা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথিডিন, সিসা, সিরিঞ্জের মাধ্যমে নেওয়া মাদক, ঘুমের ওষুধ, এলএসডি ইত্যাদি মাদকদ্রব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বিস্তার করান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণির শিক্ষক-কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত। মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের ৭০ শতাংশই বন্ধুদের প্ররোচনায় শুরু করে। তারপর একে একে ব্যয়বহুল প্রাণঘাতী মাদকেও আসক্ত হয়ে পড়েন। মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স। এ বিষয়ে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। অভিভাবকদেরও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আজকের দিনের মাদকসেবনকারী আগামীদিনের মাদক ব্যবসায়ী।

৩. আগামী দিনের উচ্চ শিক্ষার্থীদের মনে রাখা দরকার যে, রেগিং হলো- এমন কোনো উত্যক্তকারী আচরণ যা কোনো শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে কষ্ট দেয় বা প্রভাবিত করে। এর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীকে উপহাস করা, ভয় দেখানো বা তার ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা। এটি মৌখিক বা লিখিতভাবে হতে পারে অথবা কোনো কাজ বা কার্যকলাপের মাধ্যমে হতে পারে, যার ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে বিরক্তি, কষ্ট, মানসিক ক্ষতি বা ভয় সৃষ্টি হয়। রেগিং-এর মধ্যে এমন অনেক ধরনের আচরণ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন শিক্ষার্থীকে বকাঝকা করা, অভদ্র আচরণ করা, বা অন্য কোনোভাবে হেনস্তা করা। যারা রেগিং-এর সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

৪. কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সট্রা কারিকুলাম বা সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে (ECA) যুক্ত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সার্বিক বিকাশ, সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবনেও সুবিধা দেয় এবং উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে একটি বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে : খেলাধুলা (যেমন, ফুটবল, ক্রিকেট), বিতর্ক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড (যেমন, গান, নাটক), স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ক্লাব।

ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ও লেখালেখিতে যুক্ত হওয়া জরুরি, কারণ এতে যুক্তিতর্ক ও যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং একটি সুসংগঠিত বক্তব্য তৈরির ক্ষমতা অর্জিত হয়। এটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা করতে এবং নিজেদের মতামত কার্যকরভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতামূলক ও প্রদর্শনীমূলক বিতর্ক, যেমন সংসদীয় বিতর্ক বা রম্য বিতর্ক, এতে অংশ নিয়ে আপনি বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

৫. উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় দেওয়া উচিত নয়, কারণ এতে মনোযোগ নষ্ট হয়, পড়াশোনার ক্ষতি হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও সামাজিকমাধ্যম শিক্ষাগত কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এর অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে, উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে এবং সাইবার বুলিং ও ভুল তথ্যের মতো ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

৬. চলার পথে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত হতেই পারে। কাউকে ভালো লাগলেই ইভটিজিং করা ঠিক নয়। কারণ এটি অনেক অপরাধের মধ্যে একটি, যেমন অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, বা কোনো কিছু ছুঁড়ে মারা। কারও প্রতি ভালো লাগা মানে তাকে হয়রানি করা নয়, বরং তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা উচিত। যেকোনো ধরনের অসম্মানজনক আচরণও একটি মারাত্মক অপরাধ। বরং দূর হতে তার সুখে সুখী হতে পারেন ও দুঃখে দুঃখী হতে পারেন। তার চলার পথের অমসৃণ পথ মসৃণ করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করুন। হয়তো একদিন সে আপনাকে নিজ হতে খুঁজে নেবেন, আর এটাই ভালোবাসা।

এ পর্যায়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংসর্গের প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত রূপে আলোকপাত করছি। আমি আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল আন্টি অ্যালকোহলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করায়, বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমার একটা সংযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাদকবিরোধী সংগঠন প্রতিভা এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারপারসন হওয়ায়, বাংলাদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে ও আমার একটা যোগাযোগ রয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানটি একমাত্র, যাহা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল অঞ্চল, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত ও রেকমেন্ডেড। প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনিক কার্যালয় হতেও রিকমেন্ডেড। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের নিরিখে এবং আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য, সকল শিক্ষা অধিদপ্তর, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয়গণ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমার কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি কোমলমতি ছাত্রছাত্রী। এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য কার্যক্রম করতে গিয়ে মাদককারবারিরা আমাকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যান। সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানী এবং বিশ্বের অগণিত অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের দোয়ায় সম্মানের সহিত মাদককারবারিদের খপ্পর হতে উদ্ধার হয়ে আমি বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে সমর্থ হয়েছি।

কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মাদকসহ ক্ষতিকরর নেশা হতে মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে ভূমিকা রাখতে পেরে আমি উৎফুল্ল। আমি সম্পূর্ণরূপে মাদকমুক্ত শিক্ষাঙ্গন বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখি। আমি প্রত্যাশা করি, এ লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রী অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা মহোদয়গণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে কর্মসূচি নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হলে, এই স্বপ্ন একদিন ইনশাআল্লাহ ডানা মেলবে। এ লক্ষ্যে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় সফল নবীনরা আগামী দিনে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবেন। তরুণ প্রজন্ম সর্বদিক থেকে সচেতন হয়ে উঠবেন। একদিন আপনাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। একমাত্র পড়াশোনা করলে হবে না, নবীন শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পরিশেষে, সর্বজনীনভাবে প্রীতি ও মঙ্গলকামনা করে এ নিবন্ধের সমাপ্তি টানছি।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক, প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল