জলবায়ু পরিবর্তনই সভ্যতার অস্তিত্বের আসন্ন মহাসংকট
আল শাহারিয়া
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

পৃথিবী নামক এই গ্রহটি আজ এক ভয়াবহ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্নটি সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, অনেক মহামারি এসেছে, অনেক সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মতো এমন সর্বগ্রাসী সংকট আগে কখনো আসেনি। এটি এখন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরেই সতর্ক করে আসছেন, আমরা সেই সতর্কবার্তায় খুব একটা গুরুত্ব দেইনি। তার ফল এখন আমরা ভোগ করতে শুরু করেছি। প্রকৃতি এখন প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনই বিশ্বের পরবর্তী মহাসংকট।
আমাদের চারপাশের পরিবেশের দিকে তাকালেই পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট বোঝা যায়। ঋতুর বৈচিত্র্য হারিয়ে গেছে। গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ হচ্ছে, শীতকাল ছোট হয়ে আসছে, বৃষ্টির সময় বৃষ্টি হচ্ছে না। আবার যখন বৃষ্টি হচ্ছে তখন তা বন্যায় রূপ নিচ্ছে। এই অনিয়মিত আবহাওয়া আমাদের কৃষিকাজ ও জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। শিল্পবিপ্লবের পর থেকে আমরা বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়েছি। জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। নিচু দেশগুলো তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে। দাবানলের ঘটনা এখন নিয়মিত সংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাজন থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গল সবই পুড়ছে। এই আগুন শুধু গাছপালা ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি আমাদের জানান দিচ্ছে যে সময় ফুরিয়ে আসছে।
জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশের ক্ষতি করছে না বরং এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে। কৃষি খাত এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে পড়বে। অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম বাড়বে। দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী কয়েক দশকে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। বড় বড় শহরগুলো বন্যার কবলে পড়লে অবকাঠামোর বিশাল ক্ষতি হবে। কলকারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়তে পারে। বিমা কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। সব মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি এক বিশাল মন্দার কবলে পড়তে পারে যা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। হিটস্ট্রোক এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর বাইরেও আছে নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব। মশা ও কীটপতঙ্গবাহিত রোগগুলো নতুন নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগগুলো এখন এমন সব দেশে দেখা যাচ্ছে যেখানে আগে এগুলো ছিল না। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে হাজার বছর ধরে সুপ্ত থাকা অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জেগে উঠতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এর ফলে বিশ্বে নতুন কোনো মহামারি দেখা দিতে পারে। আমাদের বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থা এই নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত নয়। বায়ুদূষণ ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। লোনা পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় চাষযোগ্য জমি নষ্ট হচ্ছে। সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এদের বলা হচ্ছে জলবায়ু শরণার্থী। বিশ্বব্যাংকের মতে ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ২১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ কোথায় যাবে তা এক বিরাট প্রশ্ন। এক দেশ থেকে অন্য দেশে মানুষের ঢল নামবে। এর ফলে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়বে। সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হবে। ধনী দেশগুলো নিজেদের সীমানা বন্ধ করে দিতে চাইবে। এতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে। এর মধ্যেই আফ্রিকা ও এশিয়ার অনেক দেশ থেকে মানুষ ইউরোপ বা আমেরিকার দিকে পাড়ি জমাচ্ছে। এই প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে এবং তা বিশ্ব রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি হয় তবে তা হবে পানির জন্য। এই কথাটি আমরা অনেকদিন ধরেই শুনে আসছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুপেয় পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। হিমালয়ের বরফ গলে গেলে এশিয়ার বড় নদীগুলো একসময় শুকিয়ে যাবে। তখন ভারত বা চীন এবং বাংলাদেশের মতো নদীমাতৃক দেশগুলোর মধ্যে পানির হিস্যা নিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছাবে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোতে এখনই পানির সংকট তীব্র। নীল নদের পানি নিয়ে ইথিওপিয়ার সঙ্গে মিশরের বিরোধ চলছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের বিরোধ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। পানির অভাব কেবল তৃষ্ণা মেটানোর সমস্যা নয়। এটি খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। পানি না থাকলে ফসল হবে না। আর ফসল না হলে মানুষ না খেয়ে মরবে। বাঁচার জন্য মানুষ তখন সহিংস পথ বেছে নেবে।
পৃথিবী শুধু মানুষের একার নয়। এখানে লাখ লাখ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ বাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই প্রাণীকুল আজ হুমকির মুখে। অনেক প্রজাতি এর মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে প্রবাল প্রাচীরগুলো মরে যাচ্ছে। প্রবাল প্রাচীরকে বলা হয় সমুদ্রের রেইনফরেস্ট। এগুলো ধ্বংস হলে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে। এর প্রভাব পড়বে মানুষের ওপর। কারণ আমরা খাদ্যের জন্য সমুদ্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার কারণে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে। এতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত বাড়ছে। বাস্তুতন্ত্রের এই ভারসাম্য নষ্ট হলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। মৌমাছির মতো ছোট পতঙ্গ যদি হারিয়ে যায় তবে পরাগায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ফল ও ফসলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো চেইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। যদিও এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের দায় খুব সামান্য। আমাদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ নগণ্য। অথচ আমরাই এর বড় শিকার। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে লোনা পানি ঢুকে পড়ছে। এতে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। মানুষ কাজের সন্ধানে শহরমুখী হচ্ছে। ঢাকা শহরের ওপর চাপ বাড়ছে। উত্তরের জেলাগুলোতে খরা ও বন্যা দুটোই বাড়ছে। নদীভাঙনে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ ও তীব্রতা বেড়েছে। সিডর বা আইলার মতো ঘূর্ণিঝড়গুলো আমাদের অর্থনীতিকে বারবার পিছিয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও সাহায্য খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নিজেদের লড়াইটা নিজেদেরই করতে হচ্ছে। কিন্তু এই লড়াই কতদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব তা নিয়ে সংশয় আছে।
প্রতি বছর ঘটা করে জলবায়ু সম্মেলন বা কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বনেতারা সেখানে বড় বড় ভাষণ দেন। অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ খুব কমই হয়। কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা কেউ নিচ্ছে না। উন্নত দেশগুলো তাদের শিল্পায়ন বন্ধ করতে চায় না। তারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছে। প্যারিস চুক্তিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বলছে আমরা সেই সীমা অতিক্রম করতে চলেছি। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এখানে স্পষ্ট। মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা পরিবেশের তোয়াক্কা করছে না। রাজনীতিবিদরা ভোটব্যাংক ঠিক রাখতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছেন। এই ব্যর্থতা আমাদের সবাইকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই যদি তারা সতর্ক না হন তবে আর কিছুই করার থাকবে না।
এই অন্ধকারের মধ্যেও আশার আলো আছে। তা হলো নবায়নযোগ্য শক্তি। সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারি। প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত হয়েছে। সোলার প্যানেলের দাম কমেছে। ইলেকট্রিক গাড়ির প্রচলন বাড়ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে এর জন্য দরকার বিশাল বিনিয়োগ। ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা প্রযুক্তি ও অর্থ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করতে পারে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তেলের ব্যবহার কমাতে হবে। সবুজ জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে হবে। এটি কেবল পরিবেশ বাঁচাবে না বরং নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। গ্রিন ইকোনমি বা সবুজ অর্থনীতিই হতে পারে আগামীর বিশ্বের চালিকাশক্তি।
শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। ব্যক্তি হিসেবে আমাদেরও অনেক দায়বদ্ধতা আছে। আমাদের ভোগবাদী মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ বা পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। মাংস উৎপাদনের জন্য প্রচুর পানি ও জমির প্রয়োজন হয় এবং এতে প্রচুর মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। তাই উদ্ভিজ্জ খাবারের দিকে ঝুঁকলে পরিবেশের উপকার হবে। আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তন আনি তবে তা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। গণপরিবহন ব্যবহার করা বা সাইকেল চালানো পরিবেশের জন্য ভালো। আমাদের সচেতনতাই পারে বিশ্বকে রক্ষা করতে।
জলবায়ু পরিবর্তন কোনো তাত্ত্বিক বিষয় নয়। এটি আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। তারা একটি বাসযোগ্য পৃথিবী পাবে না। তারা পাবে এক ধ্বংসস্তূপ। বিজ্ঞান আমাদের পথ দেখিয়েছে।
সমাধান আমাদের হাতেই আছে। এখন প্রয়োজন শুধু ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব দেশকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এটি সমগ্র মানবজাতির সমস্যা। পৃথিবীকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। কারণ আমাদের যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় কোনো গ্রহ নেই। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখনই কাজ শুরু করার সঠিক সময়। আজ যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে কাল আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই জলবায়ু পরিবর্তনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হবে। প্রকৃতিকে তার আপন রূপে ফিরিয়ে দিতে হবে। তবেই আমরা এই নীল গ্রহে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারব।
আল শাহারিয়া
শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
