অতিথি পাখিদের রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন
মো. নূর হামজা পিয়াস
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতি বছর শীতকালে বাংলাদেশ সাইবেরিয়া, মধ্যএশিয়া ও হিমালয়ের তীব্র শীত থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী পাখির আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়। সিলেটের বিস্তৃত হাওর, হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরের অতল জলাভূমি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক সব জায়গাতেই শীতের ভোরে পাখিদের ডানা মেলা ও কিচিরমিচিরে সৃষ্টি হয় এক অপূর্ব প্রাকৃতিক উৎসব। প্রকৃতির এই স্বতঃস্ফূর্ত সৌন্দর্য শুধু চোখের আরাম নয় এটি আমাদের জলাভূমি, মাটি, নদী ও বাস্তুতন্ত্রের সুস্থতারও এক জীবন্ত চিত্র। অথচ বছর বছর এই মহামূল্যবান অতিথিদের আগমন হলেও, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা গভীর ব্যর্থতায় আটকে আছি।
পরিযায়ী পাখিদের আগমন কোনো সৌভাগ্যের ঘটনা মাত্র নয়, এটি দীর্ঘ হাজার বছরের প্রাকৃতিক উড়ালপথের অংশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই মূল্যবান অতিথিরা এখন মানুষের নির্মম শিকারের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বহু জায়গায় এখনও শিকারকে ঐতিহ্য বা বিনোদন হিসেবে দেখা হয়। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই ফাঁদ, জাল, বিষ, বন্দুকের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। পাখিদের নিধন শুধু তাদের জীবনের সমাপ্তিই ঘটায় না, বরং আমাদের পরিবেশগত শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলে। বাংলাদেশে শীতকালীন পাখিশিকার অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে লাভবান হওয়ার অযৌক্তিক মানসিকতা ও আইনের প্রয়োগহীনতার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী পরিযায়ী পাখিদের স্বাভাবিক উড়ালপথ পুনর্গঠন করছে। তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন, বরফ গলা, খাদ্যের সংকট, জলাধারের শুকিয়ে যাওয়া সবকিছুই তাদের প্রতি বছর একই পথ অনুসরণের ধারাকে ব্যাহত করছে। ফলে অনেক প্রজাতি বাংলাদেশে পৌঁছেই দুর্বল হয়ে পড়ে, কেউ কেউ পথে মারা যায়। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের সীমান্তের ভেতরে নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা আরও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, পাখিরা যখন দুর্বল হয়ে আমাদের জলাভূমিতে অবতরণ করে, ঠিক তখনই চোরাশিকারিদের ফাঁদে পড়ে।
পরিযায়ী পাখিরা কোনো সাধারণ প্রাণী নয়। তারা পৃথিবীর পরিবেশগত ভারসাম্যের অমূল্য ভরকেন্দ্র। বীজ ছড়িয়ে তারা বনকে টিকিয়ে রাখে, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করে কৃষিকে রক্ষা করে, খাদ্যশৃঙ্খলে পুষ্টি স্থানান্তর করে এবং জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে। তাদের উপস্থিতি জলাভূমির স্বাস্থ্য নির্দেশ করে, আর অনুপস্থিতি বিপদের পূর্বাভাস দেয়। বাংলাদেশে কৃষি জমির উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতেও এদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই পরিযায়ী পাখির নিধন শুধু পাখির মৃত্যুই নয়, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ও পুরো বাস্তুতন্ত্রের জন্য ভয়ংকর সংকেত।
বাংলাদেশ বহু বৈশ্বিক পরিবেশগত চুক্তির সদস্য বিশেষ করে মধ্য এশীয় উড়ালপথ সংরক্ষণ উদ্যোগে দেশটির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু প্রতিবছর পরিযায়ী পাখি হত্যার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, আমাদের পরিবেশবান্ধব রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, গত পাঁচ বছরে আগত পাখির সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে, যার অন্যতম কারণ শিকার। ২০২৫ সালেও হাওর ও জলাভূমিতে শিকার বন্ধ হয়নি। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিতে ব্যর্থ দেশের তালিকায় চলে যেতে পারে।
বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন রয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বলা আছে পরিযায়ী পাখি হত্যা, আটক বা বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ প্রায় শূন্য। গ্রামাঞ্চলে শিকার প্রায়ই সবার জানা গোপন খবর, তবুও প্রশাসনিক অভিযান খুবই সীমিত। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, পর্যাপ্ত জনবল না থাকা এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অনেক শিকারি থাকে। ফলে আইন কার্যত কাগজে কলমেই আটকে থাকে।
বিভিন্ন এলাকায় শীতকাল মানেই পাখি ধরে বিক্রি করে সাময়িক অর্থ আয়ের চেষ্টা। হাওর অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যাভাব, কর্মসংস্থানের অভাব এবং বিকল্প আয়ের সুযোগ না থাকায় তারা শিকারের ওপর নির্ভর হতে বাধ্য হয়। তবে এই উপার্জন যতটুকু হয়, পরিবেশের ক্ষতি হয় তার বহুগুণে। ২০২৫ সালের এক জরিপে দেখা যায়, সিলেট অঞ্চলে প্রতি মৌসুমে গড়ে ১৬–১৮ হাজার পরিযায়ী পাখি শিকার হয়, যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এই বাণিজ্যিক শিকার স্থানীয় পরিবেশকে দীর্ঘমেয়াদে বিপর্যস্ত করছে।
পরিযায়ী পাখি নিধনের সবচেয়ে বিপজ্জনক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি হলো বিষটোপ (Poison Bait) ব্যবহার করা। শিকারিরা অল্প খরচে ও সহজে পাখি ধরার জন্য বিষ মেশানো খাবার জলাভূমির আশপাশে ফেলে রাখে। এর ফলে শুধু লক্ষ্যযুক্ত পাখিগুলোই মারা যায় না, বরং বিষাক্ত পাখিদের মাংস খাওয়ার ফলে বাজ, শিয়াল, বেজি বা এমনকি গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালের মতো অন্যান্য প্রাণীও মারা যায়। এই বিষ খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং মারাত্মক পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটায়। এই নীরব দূষণ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা জরুরি।
শিকার বন্ধে কঠোর নজরদারি ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। ড্রোন পর্যবেক্ষণ, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয়দের অজ্ঞাতনামে অভিযোগ জানানো, স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ, জলাভূমি-কেন্দ্রিক বিশেষ টহল এসব ব্যবস্থার অভাব বর্তমানে প্রকট। উন্নত দেশে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে পাখি শিকার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। বাংলাদেশে যথাযথ পরিকল্পনায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করলে কম সময়ে কার্যকর পরিবর্তন আনা সম্ভব।
শাস্তি ভয় দেখিয়ে শিকার রোধ করা যায় না। বরং দরকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আস্থাভাজন হওয়া। ইকো-ট্যুরিজম বাড়ানো, বিকল্প জীবিকায় সহায়তা, সংরক্ষণভিত্তিক কর্মসংস্থান, ঝুঁকি ভাতা চালুর মতো উদ্যোগ স্থানীয় মানুষকে পাখি রক্ষায় সহযোগী করে তুলতে পারে। টাঙ্গুয়ার হাওরে ২০২৫ সালে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পে দেখা যায়, সংরক্ষণভিত্তিক কর্মসংস্থান থাকলে স্থানীয়দের ৮৫ শতাংশ শিকার বন্ধে আগ্রহী।
বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজগুলোতে বন্যপ্রাণী ক্লাব প্রতিষ্ঠা, মাঠপর্যায়ে গবেষণা, সচেতনতা ক্যাম্পেইন, শিক্ষার্থীদের সরাসরি জলাভূমি অভিযানে যুক্ত করা এসব উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতির রক্ষক হিসেবে গড়ে তোলে। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, সিলেট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রতিবছর আয়োজিত পাখি মেলা সমাজে ব্যাপক সচেতনতার জন্ম দেয়। কিন্তু এসব ছড়িয়ে দিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
পাখি শিকারকে ঐতিহ্য বা বিনোদন হিসেবে দেখার পুরোনো ধারণাটি পরিবর্তন করতে আন্তঃপ্রজন্মগত সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। গ্রামের বয়স্ক প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইন ও নৈতিকতা পরিবর্তন হয়েছে এবং শিকার এখন একটি জঘন্য অপরাধ। অন্যদিকে, শিশুদের মধ্যে ছোট থেকেই প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও পরিযায়ী পাখির ভূমিকা নিয়ে ধারণা দিতে হবে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকগান এবং নাটকের মাধ্যমে পাখি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরলে, এটি দ্রুত সামাজিক সংস্কৃতিতে পরিণত হবে এবং শিকারের মানসিকতা পাল্টে যাবে।
আইন প্রয়োগের অভাব দূর করতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিগুলোতে যেমন- হাওর ও বিল বিশেষ টহল দল গঠন করা জরুরি। এই দলে স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, পরিবেশবাদী এনজিও এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। টহল দলগুলোর কাছে দ্রুতগামী নৌযান, বাইনোকুলার এবং ওয়াকি-টকির মতো যোগাযোগ সরঞ্জাম থাকতে হবে। শীতকালে নিবিড় টহল নিশ্চিত করা গেলে শিকারিদের সাহস কমে আসবে এবং তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। শুধু নিয়মিত ও দৃশ্যমান টহলই চোরাশিকারিদের নিরুৎসাহিত করতে পারে।
পরিযায়ী পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে শিকার বন্ধ করার পাশাপাশি জলাভূমি পুনরুদ্ধার ও দূষণমুক্তকরণ জরুরি। শিল্পবর্জ্য, কীটনাশক এবং পলি জমে অনেক জলাভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের উচিত অবৈধ দখলদারিত্বমুক্ত করে বিল ও হাওরের গভীরতা বাড়ানো এবং জলজ উদ্ভিদ ও মাছের প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। দূষণমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর জলাভূমি প্রাকৃতিকভাবেই পাখিদের আকর্ষণ করবে, তাদের খাদ্যের জোগান দেবে এবং প্রজননে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে বহু সংস্থা পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে কাজ করছে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে আটকে আছে। সরকার, সংস্থা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ত্রিমুখী সমন্বয় হলে কাজ আরও গতি পাবে। সংস্থাগুলোর জরিপ অনুসারে, গত পাঁচ বছরে অন্তত ৪০টি পাখি প্রজাতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এই পরিস্থিতিতে এনজিওদের গবেষণা, মাঠকর্ম, আইন-প্রয়োগ তদারকি, জনসচেতনতা আরও বাড়ানো দরকার।
পরিযায়ী পাখিরা যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে আসে, তাই তাদের রক্ষায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। বাংলাদেশের উচিত মধ্য এশীয় উড়ালপথ বরাবর অন্যান্য দেশ, যেমন- ভারত, নেপাল এবং শিকারি দেশগুলোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান এবং পাচার রোধে সমন্বয় সাধন করা। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যেমন- BirdLife International সঙ্গে যৌথ প্রকল্প গ্রহণ করলে অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে উড়ালপথের প্রতিটি ধাপে পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
পরিযায়ী পাখির বিলুপ্তি শুধু পরিবেশগত ক্ষতি নয়, এর অর্থনৈতিক প্রভাবও ভয়ংকর। কৃষিক্ষেত্রে কীটপতঙ্গ বেড়ে উৎপাদন কমে যাবে, জলাভূমির স্বাস্থ্য নষ্ট হবে, পর্যটন বন্ধ হবে, মৎস্য উৎপাদন কমবে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর পরিযায়ী পাখি না থাকার কারণে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০-৩৫০ কোটি টাকার পরোক্ষ ক্ষতির মুখে পড়ে। ২০২৫ সালের বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ বলছে, সংরক্ষণ না হলে আগামী ১০ বছরে এই ক্ষতি দ্বিগুণ হবে।
আজ যখন পত্রিকার পাতাজুড়ে পাখি হত্যার ছবি দেখি তখন বোঝা যায় আমরা উদাসীন। পাখি নিধনকারীরা জানে, আইনের প্রয়োগ নেই, সামাজিক প্রতিবাদ নেই, তাই শিকার চলতেই থাকবে। কিন্তু এ নীরবতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক ভয়ংকর পরিবেশ সংকটের সামনে দাঁড় করাবে। পরিযায়ী পাখি হারালে হারাব আমরা জলাভূমির জীবন, কৃষির সহায়ক শক্তি এবং পৃথিবীর এক অবিচ্ছেদ্য সুন্দর।
পরিযায়ী পাখি শিকার শুধু একটি আইনভঙ্গ নয়, এটি আমাদের পরিবেশগত উত্তরাধিকারকে ধ্বংস করার এক পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এ শীতকালীন অতিথিরা আমাদের দেশের পরিচয়ের অংশ। তাদের ডানা ঝাপটানি এবং গান হারালে হারাবে আমাদের প্রকৃতির এক বিরল রত্ন। তাই এখনই সময় কঠোর আইন প্রয়োগ, প্রযুক্তিনির্ভর পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং পরিবেশকে ভালোবাসার সামাজিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার। এই পাখিদের রক্ষা করা মানে বাংলাদেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য আরও সুন্দর, আরও সবুজ, আরও বাসযোগ্য করে তোলা।
মো. নূর হামজা পিয়াস
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
