ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কালের কড়চা

সক্রেটিসের বিষ পান ও উন্মত্ত গণতন্ত্র

সক্রেটিসের বিষ পান ও উন্মত্ত গণতন্ত্র

গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের নামটি শিক্ষিত সচেতন মানুষের কাছে অজানা থাকার কথা নয়। তদানীন্তন এথেনীয় রাষ্ট্র আদালত কর্তৃক সক্রেটিসকে বিষ পান করিয়ে হত্যার আদেশ কার্যকর করেছিল। বিষ পান করিয়ে প্রাণদ-ে দ-িতের এমন আদেশ বিরল ঘটনা। এক নিদারুণ বিয়োগান্তক এই ঘটনা গোটা বিশ্বের মানব সভ্যতাকে ভ্রু-কুটি করেছিল। সক্রেটিস এমন এক মহান দার্শনিক ছিলেন, যিনি মানুষের মনের গভীরতা উপলব্ধি করতে সক্ষম ছিলেন। মানুষের মনের সত্যস্বরূপ সত্তাকে যিনি চিনতেন এবং সেই সত্তার সঙ্গে সরাসরি যার বন্ধুত্ব ছিল পশ্চিমা বিশ্বে, তিনিই সক্রেটিস। সক্রেটিস যুবকদের এই পরম সত্য উপলব্ধির জন্য অনুপ্রাণিত করে আসছিলেন, অসংখ্য ভক্ত সৃষ্টি হয়েছিল তার। এমনি পরিস্থিতিতে এথেনীয় সরকার সক্রেটিসকে যুবকদের বিপথগামী করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। আদালত কর্তৃক রায় ঘোষিত হয় মৃত্যুদ-। বিষ পান করিয়ে রায় কার্যকরের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়। দুর্ভাগ্য এই, দেশের সুন্দরতম মহত্তম মানুষটির এমন পরিণতি কেউ আশা করেনি। এথেনীয় রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে মানব ব্যক্তিত্বের উচ্চতর আধ্যাত্মিক মাত্রাটি বোধগম্য হয়নি। সক্রেটিসের বিরুদ্ধে প্রাণদ-ের আদেশ হলে মৃত্যুর সম্মুখীন সক্রেটিসের সঙ্গে আরেক বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটোর কথোপকথনের বর্ণনা আছে। মনে সাহস না থাকলে, সচারচর মানুষ ধীরস্থিরভাবে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারে না। মানুষ ভয় পায়, বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু সক্রেটিসের মন ছিল শান্ত, সমাহিত, শান্তিপূর্ণ ও নির্ভীক, কারণ জ্ঞানের গভীরে তিনি জানতেন। তিনি শরীর নন মৃত্যুহীন আত্মা। প্লোটো সক্রেটিসের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন সেখানে সক্রেটিসের অল্পবয়সি শিষ্যবৃন্দ আবেগাপ্লুত হয়ে সক্রেটিসকে ঘিরে বসে ছিল। উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে একমাত্র সক্রেটিসই ছিল শান্ত-ধীর-স্থির। সক্রেটিস আবেগাপ্লুতদের ভর্ৎসনা করে বললেন, ‘আমি মহিলাদের চলে যেতে বলছি (আবেগাপ্লুত মহিলারা কাঁদছিল) আমার মৃত্যুকালে যেটুকু শান্তি চাইছিলাম তা বিঘিœত হচ্ছিল। কিন্তু তোমরা যুবকরাও কাঁদছ। যারা তাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিল, তাদের সবাইকে লক্ষ্য করেই তিনি এই কথা বললেন। সে সময় ক্রিটো নামের এক বয়স্ক ব্যক্তি সক্রেটিস্কে প্রশ্ন করলেন ‘সক্রেটিস, আমরা কীভাবে তোমাকে কবর দেব?’ সক্রেটিস তখনও মরেননি বিষ পান করেছেন মাত্র। কিছুক্ষণ পরই বিষক্রিয়া আরম্ভ হবে এবং তার মৃত্যু হবে। সক্রেটিস ক্রিটোর প্রশ্নটি স্মিতহাস্যে গ্রহণ করে বললেন, ‘ক্রিটো এ প্রশ্ন করার আগে তোমাকে অবশ্যই আমাকে, আমার প্রকৃত স্বরূপকে ধরতে হবে। আমার সত্যস্বরূপ সত্তাকে ধরতে হবে, তবেই তুমি এমন প্রশ্ন করতে পার’; সক্রেটিস বললেন, ‘ক্রিটো প্রভূত আনন্দময় হও। তুমি আমার এই শরীরের কথা বলছ? এটিকে নিয়ে নয়, অন্যের শরীর নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবে।’ তার এই কথায় দেখা যায় আত্মার অমৃততত্ত্ব সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞানই পরম শান্তি, মহনীয় স্থৈর্য, অসীম সাহস ও সমেবেত জনগণকে শান্ত করার শক্তি এনে দেয়। অতএব এটি একটি কেবল তত্ত্ব নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা; কিন্তু সমগ্র পাশ্চাত্য ইতিহাসে এরূপ ব্যক্তি কেবল একজনই ছিল। পাশ্চাত্য সাহিত্যও তাই বলে। এথেনীয় বিচার অঙ্গনে উপস্থিত জনগণও এথেন্সবাসীদের সক্রেটিসের মহত্ত্ব সম্বন্ধে কোনো ধ্যানধারণাই ছিল না। যদিও ডেলফির দিব্যবাণীতে এই কথা গ্রিকদের বলা হয়েছিল, ‘হে মানব, আত্মানং বিদ্ধি আপনাকে জান’, তারা মানুষকে কেবল বাহ্য দৃষ্টি দিয়ে তার খাওয়া, পান করা, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ তার সাম্রাজ্য বিস্তার ও যুদ্ধ প্রবৃত্তির দিক থেকেই জেনেছিল। এসব দিক থেকে গ্রিকরা খুবই প্রতিভা সম্পন্ন ছিল। কিন্তু সক্রেটিসই একমাত্র এই সত্য জেনেছিলেন, গ্রিকরা এই মহান ব্যক্তিটিকে বুঝতে পারেনি। সক্রেটিস বিষপান করে মৃত্যুকে উপভোগ করেছিলেন। অন্যকোন উপায়ে মৃত্যুটাকে এতটা উপভোগ করার সুযোগ ছিল না, তাই নির্ভীক সক্রেটিস এই শাস্তিটা সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নিজেই জানতেন তার মৃত্যু নেই। যা হোক, সক্রেটিস জেনে-শুনে বিষপান করেছিলেন দ-ভোগের নিমিত্তে এবং মৃত্যু যন্ত্রণার সান্নিধ্য পাওয়ার প্রবল প্রত্যাশায়। সক্রেটিস যদি ভারতের নাগরিক হতেন তবে ভারতের জনগণ তাকে বুঝতে পারত। হত্যার পরিবর্তে মহান ঋষির মর্যাদা দিত। কিন্তু গ্রিক কৃষ্টিতে মানব ব্যক্তিত্বের এই আধ্যাত্মিক মাত্রাটি কখনোই বোধগম্য হয়নি। তারা বোঝে না এমন কিছু যিনিই প্রচার করবেন তিনি তাদের কাছে দ-নীয় বা বধযোগ্য। প্রভু যিশুর ক্ষেত্রেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। তিনি যা বলতেন দেশের যাজক সম্প্রদায় তা বুঝতে পারেনি, তাই তাকে শয়তানের দূত বলে দোষী সাব্যস্ত করে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। বার্টান্ড রাসেলের বিখ্যাত উক্তিটি মনে পড়ছেÑ ‘তুমি যদি লোকদের শেখার ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত দ্রুততর বেগে তাদের শেখাতে যাও, তবে তুমি নিজেই বিপদে পড়বে।’ সক্রেটিস এমন কিছু শেখাতেন যা জনগণ বুঝত না, কিন্তু প্লেটো ও সামান্য কিছু লোক তা বুঝেছিল। গণতান্ত্রিক এথেন্সের উন্মত্ত জনতা সক্রেটিসকে হত্যা করল, তাই প্লেটো গণতন্ত্রকে ঘৃণা করতেন। প্লেটো যে গণতন্ত্রকে ঘৃণা করত সেটি ছিল উন্মত্ত গণতন্ত্র। এই উন্মত্ত গণতন্ত্র আমরা কোভিড সংক্রমণ কালে সাড়া বিশ্বেই লক্ষ্য করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেন আমরা নতুন গণতন্ত্রের সামনা-সামনি হচ্ছি। কোন ধারায় পথ অতিক্রম করলে আমরা কোভিড মোকাবিলায় সক্ষম হব তা যেন বুঝে উঠতে পারছি না। কখনও লকডাউন, কখনও সেমি লকডাউন, কখনও শাটডাউন, কখনও শিথিল বিধিনিষেধ নানা অভিধায় অভিহিত করে কোভিড সংক্রমণ রোধের প্রাণন্তকর চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা সারা বিশ্বে প্রায় একই রকম। আমাদের বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা দুরূহ ব্যাপার। এ ব্যাপারটি যারা বোঝেন না তাদেরকে প্রায়ই টেলিভিশনে বকবক করতে শুনি। টেলিভিশনের টক শোতে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কোভিড নিয়ে ফালতু আলোচনা শুনতে শুনতে মানুষ ক্লান্ত, বিরক্ত এবং বিব্রত। কারও আলোচনায় কোনো সারবস্তু খুঁজে পাওয়া যায় না। সরকারের সমালোচনায় উন্মত্ত গণতান্ত্রিক আলোচনায় মেতে ওঠে। যারা আলোচনায় অংশ নেন তারা মনে করেন তাদের চেয়ে জ্ঞানী এই বাংলাদেশে নেই। এসি বাড়িতে বসে যারা ভার্চুয়াল আলোচনায় রত হন তাদের কী সাধারণ মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা বোঝার সক্ষমতা আছে? এ দেশের মানুষের শেখার ক্ষমতা কতটুকু আছে সেটি কি আলোচকরা উপলব্ধি করতে পারেন? আমাদের সরকারপ্রধান পোড় খাওয়া নেত্রী, তিনি ভালোভাবেই এ দেশের মানুষকে উপলব্ধি করতে পারেন। এ দেশের মানুষের শিক্ষণীয় বিষয়ে কতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে, শেখ হাসিনা সেটা উপলব্ধি করেই পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন কর্মকৌশল নিধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। সক্রেটিস যেমন নির্ভয়ে বিষ পান করে মৃত্যুর স্বাদ উপভোগ করেছিলেন তেমনি বাংলাদেশের মানুষকে কোভিড যন্ত্রণাকে উপভোগ্য অনুষজ্ঞ হিসেবে গ্রহণ করেই জীবন-জীবিকা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের শুধু এই শিক্ষাটার জন্য সরকারকে তৎপর হতে হবে, তা হচ্ছে উদার ভাবধারায় যেন আমাদের চরিত্র গড়ে ওঠে। উদার ভাবধারায় জনগণের চরিত্র গড়ে না উঠলে গণতন্ত্র হয়ে উঠবে একরকম উচ্ছৃঙ্খল গু-া রাজতন্ত্র। এমনকি যখন উন্মত্ত জনতা সবরকম আইন-কানুন ভেঙে কোনো নেতাকে স্বাগত জানাতে দলবদ্ধভাবে সমেবত হয় বা যখন কোনো রাজনৈতিক দল সহিংস প্রথায় জোর করে জনগণের ওপর ধর্মঘট চাপিয়ে দেয়, তখনই বোঝা যায় গণতন্ত্র কোন পথে এগুচ্ছে।

আমাদের চরিত্রের বহু কালিমা মুছে ফেলতে হবে। তা সম্ভব হবে যখন আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি জনগণের কাছে পৌঁছবে। তবে প্রথাগত শিক্ষা নয়। প্রথাগত শিক্ষা কখনও কখনও অমার্জিত করে তোলে। আজকাল দেখি বহু শিক্ষিত যুবক ব্যবহারে অমার্জিত। কিন্তু সংস্কৃতির সহযোগে শিক্ষা হয়ে উঠবে অনন্য জীবনমুখী। আমরা জীবনের বেঁচে থাকার দিকটাই জানি। জীবনের অন্যদিক মৃত্যু সম্বন্ধে আমরা অজ্ঞ। মৃত্যু ও জীবন হলো একই সত্যের দুটি রূপ। তাই সত্যকে জানতে হলে জীবন ও মৃত্যু দুটিই জানতে হবে, কেবল জীবন জানলেই হবে না। গ্রিকরা শুধু জীবনকেই বুঝেছিল। লোয়েস ডিকিনসন (ব্রিটিশ প-িত) গ্রিক জীবন সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে বলেছেন, ‘গ্রিকরা জীবন বুঝতেন; কিন্তু তারা মৃত্যুর সঙ্গে কখনও বোঝাপড়া করতে পারেননি। মৃত্যুকালে তাদের বোধ হতো যেন কোনো শক্তি ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাকে তারা মোটেও পছন্দ করত না। এ ক্ষেত্রে সক্রেটিস ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি জীবন-মৃত্যুর অর্থ বুঝতেন। বর্তমানে এই আধুনিক সভ্যতায় আমাদের জীবনে একই পরিস্থিতি উদ্ভূত হচ্ছে। আমরা মৃত্যুর অর্থ বুঝি না, মৃত্যু যে শরীরের, আত্মার নয় তা বুঝি না। জীবন বুঝতে গিয়ে জড়জগতের ভোগ-বিলাসিতায় উন্মত্ত হয়ে উঠি। এই যে অতিমারি চলছে, এমন পরিস্থিতিতেও কোনো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছি না। এক শ্রেণির সরকারি আমলা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক শোষণের হাতিয়ার হিসেবে কোভিডকে ব্যবহার করছে। নৈতিক চরিত্রের শক্তি অর্জনের চেয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাপক অর্থ অর্জনকেই মহাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করে উন্মত্ত গণতান্ত্রিক জীবনকে বিকশিত করছে। যারা দুর্নীতি ও অপকর্মের প্রতিবাদমুখর হচ্ছে, তাদেরকে কখনও কখনও বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

রাষ্ট্রযন্ত্র বেপোরোয়া হয়ে তাদের নানারকম দ- প্রদান করছে। প্রশাসন যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্তাব্যক্তির চাইতে বেশি জ্ঞান প্রকাশ করা যাবে না। সুন্দর পরামর্শ, যা মানুষের কল্যাণে কার্যকর হতে পারে, এমন পরামর্শদাতার পরিণতি হয়তো সক্রেটিসের মতোই হবে। কাজেই যারা প্রজ্ঞাবান কিংবা জ্ঞান সাধনা করেন তাদের জ্ঞান রাষ্ট্রীয় কোনো কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে না, হওয়ার সুযোগ নেই। সারা বিশ্বেই একই অবস্থা। তবে ব্যতিক্রম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কর্ণকুহরে যদি কোনো ভালো পরামর্শ পৌঁছে, তবে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন মানুষের কল্যাণের জন্য। এরকম অনেক উদাহরণ একমাত্র শেখ হাসিনাই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের এই যে, সরকারি উঁচু দরের কর্তাব্যক্তিরা সমালোচনা সইতে পারে না। মনোভাব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাদের নেই। যে দেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মনোভাব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকে না, সে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না এবং গণতন্ত্রও মুখ থুবড়ে পড়ে। আমলারা নিজেরাই নিজেদের মর্মবেদনা সৃষ্টি করে, এটাই আমরা দেখে আসছি। আমলা রাজনীতিক, পুলিশের কর্তাব্যক্তি এরা সবাই ক্ষমতাবান। তাদের ক্ষমতা ব্যবহৃত হবে জনতার সেবার জন্য। এদের কাজ হচ্ছে স্বীয় ক্ষমতা ও শক্তির সাহায্যে অন্যের সেবা করা। কিন্তু এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিস্বার্থের নিমিত্তে ক্ষমতা ব্যবহার করে। এই অপব্যবহারের ফলে জনগণও উন্মত্ত হয়ে ওঠে। পারস্পরিক অবিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়। কাজেই মানবমুক্তির জন্য সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা যুদ্ধ দরকার। এ যুদ্ধ ধর্ম-যুদ্ধ। এর স্বরূপ বুঝতে সাহস দরকার। যে সাহস সক্রেটিসের ছিল। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর ছিল, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুসহ এই উপমহাদেশের অনেকেরই সেই সৎসাহস ছিল। যারা মৃত্যুকে ভয় পাননি। জন্ম-মৃত্যুর অর্থ তারা বুঝতেন। এর অর্থ সবাইকে বুঝতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত