একেবারেই ভিন্ন রকমের একটা মেলোডি ভয়েজ শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রাশেদের। ‘আমি খুঁজেছি তোমায় মাগো’ গান দিয়ে যিনি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। এই গান দিয়েই যাকে এখনো শ্রোতা দর্শক চেনেন জানেন। বিশেষত মা দিবস এলে গানটি দেশের আনাচে কানাচে এখনো বেজে উঠে। কিন্তু রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ানে অংশগ্রহণের আগেই রাশেদ ২০০৩ সালে ‘বেনসন অ্যা- হেজেস’ আয়োজিত রিয়েলিটি শো’তে ২০০৩ সালে সারা বাংলাদেশ থেকে অশংগ্রহণ করা সব শিল্পীদের মধ্যে রাশেদ বেস্ট ভোকাল হয়েছিলেন। এই রিয়েলিটি শো’তেই তার প্রথম মৌলিক গান ‘এই চাঁদ’ গাওয়া হয়েছিল রাশেদের। তবে এই গানটি পরবর্তীতে প্রকাশ পায় তার অন্যান্য কয়েকটি মৌলিক গান প্রকাশের পর। ২০০৫ সালে ক্লোজআপওয়ান ‘তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় মৌলিক গানের পর্বে ‘আমি খুঁজেছি তোমায় মাগো’ গানটি গেয়ে দারুণ সাড়া ফেলেন রাশেদ। গানটি লিখেছিলেন আসিফ ইকবাল, সুর সঙ্গীত করেছিলেন শওকত আলী ইমন। প্রতিযোগিতায় শীর্ষ একটি স্থানে উঠে আসার পর সঙ্গীত জীবনে পেশাদারী পথচলা শুরু হয় তার। স্টেজ শো’তে ব্যস্ততা বাড়তে থাকে তার। চট্টগ্রামের ছেলে রাশেদ কতোটা বিনয়ী তা ইণ্ডাষ্ট্রির সবারই জানা। বাংলাদেশ বেতারে এখন পর্যন্ত তার এক শতাধিক মৌলিক গান প্রচারিত হয়েছে।
এ ছাড়া বিটিভিতেও অসংখ্য মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত প্রথম একক অ্যালবাম ছিল ‘ফেরিওয়ালা’। এই অ্যালবামের ছয়টি গান লিখেছিলেন আসিফ ইকবাল, চারটি গান লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, জীবক বড়ুয়াসহ আরো দু’জন। সবগুলো গানের সুর সঙ্গীত করেছিলেন নকীব খান। প্রথম অ্যালবামটি শ্রোতা দর্শকের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। এরপর তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘সোনা বন্ধে’ও বেশ সাড়া ফেলে। তারপর অনেক মিক্সড অ্যালবামে তার গান প্রকাশিত হয়েছে। আর্য সঙ্গীতে রাশেদের হাতেখড়ি ওস্তাদ ভূপতি ধরের কাছে। এরপর তিনি ওস্তাদ এমদাদুল হক সেলিমের কাছে নজরুল ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন। চলতিদ মাসেই রাশেদের কণ্ঠে নতুন তিনটি গান প্রকাশিত হয়েছে। গানগুলো হলো ‘দোলা’ (লিখেছেন শেখ নজরুল, সুর করেছেন ফিদেল নাইম), বিদায় (লিখেছেন অন্তরালয় জাহাঙ্গীর, সুর করেছেন শান সায়েক) ও ‘নিলিনা খবর’ (লিখেছেন এন আই বুলবুল, সুর করেছেন রোকন ইমন)। এ ছাড়াও আরো বেশকিছু নতুন মৌলিক গান রয়েছে যেগুলো শিগগিরই প্রকাশ পাবে রাশেদের কণ্ঠে। সঙ্গীত জীবনের দুই দশকের পথচলা এবং সঙ্গীত জীবনে তার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, দেখতে দেখতে গানের ভুবনে পথচলার দুই দশক পেরিয়ে গেছে, এটা ভাবলেই শিহরিত হই।