আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় : রিয়ানা
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক

২০০৪ সালের লাক্স ফটোসুন্দরী খ্যাত রিয়ানা খান। নিজের মেধা আর যোগ্যতায় ধীরে ধীরে শোবিজ অঙ্গনে জায়গায় করে নিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে নাটক ও সিনেমায় অভিনয় সহ মডেলিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন রিয়ানা। কাজ করেছিলেন অসংখ্য বিজ্ঞাপনচিত্রে। তখন থেকেই সময়টা তার ভীষণ ভালো চলছিলো। হঠাৎ ২০২৩ সালের দিকে কিছু প্রযোজকের হামলা ও হুমকির মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় রিয়ানা। তার উপর হামলার ঘটনা ও মেরে ফেলার হুমকি পেয়ে নিজের দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য লন্ডনে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রিয়ানা বলেন, চলচ্চিত্রের কিছু প্রযোজক ও পরিচালক আমার উপর হামলা করেছিল। আমার উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং মারধর করেছে। এ জন্য নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। তাদের নাম নিতে ভয় লাগে। কয়েক বছর আগে থেকেই প্রযোজক ও পরিচালকদের এসব জঘন্য কার্যকলাপের জন্য মিডিয়া জগত থেকে সরে আসি। আমি সিনেমা জগত ছেড়ে বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছি। তিনি আরো বলেন, আমি বাংলদেশে থাকলে এতো দিনে তারা আমাকে মেরে ফেলতো। আমার উপর অনেক নির্যাতন হয়েছে যা আমি মুখ খুলে কাউকে বলতে পারিনি নিজের জানের ভয়ে। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও আসছিল। তখন আমি থানায় জিডি করেছিলাম। আমি মিডিয়া জগতে আর কাজ করতে চাইনা। কাজ করলেই আমাকে মেরে ফেলবে তারা। আমার জীবনে আবারো এমন ধরনের ঘটনা ঘটুক তা আমি চাই না। প্রতিটি মানুষের জানের ভয় আছে। এখন আমি নিরাপদ আছি। দেশে যেহেতু ফিরতে পারবো? না, তাই সারা জীবন লন্ডনে থাকতে থাকবো। উল্লেখ্য, রিয়ানা ভারতের চলচ্চিত্র সুভাস ঘোসের ‘স্বপ্নের রং নীল’, ‘প্লাটফর্ম’, মিঠুন চক্রবর্তীর ‘হাসন রাজাসহ’ আরো বেশকিছু সিনেমায় কাজ করেছেন। কাজ করেছেন প্রসেনজিতের সাথেও। বাংলাদেশে তার উল্লেখযোগ্য ছবি ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’, ‘এক জনমের ভালোবাসা’, ‘জীবন যন্ত্রণা’ সহ আরো অনেক ছবিতে।
